প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

কম দামে পেঁয়াজ কিনতে অপেক্ষা করতে হবে আরও ২ সপ্তাহ

রোকন উদ্দীন
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৩৫:৫৯ | আপডেট: ২ মাস আগে
কম দামে পেঁয়াজ কিনতে অপেক্ষা করতে হবে আরও ২ সপ্তাহ

গত দুই সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের দাম আবার বড়াছে ফলে আগামী রমজান মাসে পেঁয়াজের দাম কোন পর্যায়ে যাবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। তবে পেঁয়াজ চাষী ও মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের তথ্য বলছে আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। এছাড়া এর মধ্যে দাম আর বৃদ্ধির সম্ভাবনাও নেই বলে জানান তারা। বরং দাম ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে বলে তারা জানান।

কৃষি বিপরণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা কেজি, যা এক মাস আগেও ৮০-৯০ টাকা কেজি ছিল। কৃষক পর্যায়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর তথ্য মতে গত বছর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৩০-৩৫ টাকা কেজি।

টিসিবি বলছে, গত এক মাসে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩১ শতাংশ ও গত বছরের এই সময়ের তুলনায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২৮ শতাংশ বেশি দামে।

কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের পেঁয়াজের মূল সিজন মার্চ মাসে শুরু হলেও ডিসেম্বর-জানুযারিতে মুড়ি কাটা পেঁয়াজ চাষ হয় যা চাহিদার অনেকটুকু পূরণ হয়। এখনও দেশে মুড়িকাটা পেঁয়াজ মাঠ থেকে উঠছে। এছাড়া পেঁয়াজ আমদানিও হচ্ছে। ফলে পেঁয়াজের সরবরাহে কোন সমস্যা নেই।

তারপরও কেন গত বছরের তুলনায় দাম এতো বেশি কেন এই প্রশ্নের উত্তর নেই কারো কাছেই।

তবে পেঁয়াজের দাম কবে নাগাদ কমতে পারে সে তথ্য জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা ও পেঁয়াজ চাষীরা। পেঁয়াজের অন্যতম বড় হাব পাবনা জেলা কৃষি অফিসার ড. মোঃ জামাল উদ্দীন (উপপরিচালক) বিজনেস পোস্টকে বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের হিসাব বলছে আগামী দুই সপ্তাহ পর থেকে পেঁয়াজের মূল সিজন শুরু হবে। তখন পাবনার সাথিয়া, বেড়াসহ বিভিন্ন উপজেলায় হালি পেঁয়াজ মাঠ থেকে ওঠানো শুরু হবে। তখন পেঁয়াজের দাম আবার কমতে শুরু করবে। তিন সপ্তাহের মধ্যে মাঠ থেকে পুরোদমে পেঁয়াজ ওঠানো যাবে।

তিনি বলেন, এবার পেঁয়াজের ফলন ও আবাদ দুটোই বেড়েছে। ফলে মৌসুম শুরু হলে বাজারে গত বছরের তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি থাকবে। চলতি বছর পাবনা জেলায় ৪৪.৬০ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১ হাজার হেক্টর বেশি।

পেঁয়াজের অন্যতম আরেক হাব ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চাষী মো. ইমরান হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত সার্বিক পরিস্থিতি বলছে গত বছরের তুলনায় পেঁয়াজের ফলন বেশি হবে। আমরা আগামী তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজ তুলতে পারবো। এই পেঁয়াজ উঠলে দাম কমে অর্ধেকে নেমে যাবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে কৃষক মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি করছে ৮২-৮৫ টাকা কেজি, যা তিন দিন আগেও ছিল ৯৫-১০০ টাকা কেজি।

গত বছর পেঁয়াজের মূল মৌসুম শুরু হওয়ার পর দাম ৪৫-৪৮ টাকা কেজিতে নেমে আসে। মৌসুমের মাঝমাঝিতে চাষীরা পেঁয়াজ বিক্রি করেছে ২৮-২৯ টাকা কেজি দরে।