মোহাম্মদ নাহিয়ান
গত সপ্তাহের তুলনায় রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কমেছে মুরগির মাংস ও প্রায় সব ধরনের সবজির দাম। সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহে যে ফার্মের মুরগি ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছেন, তা এখন ১৪৭ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৭০ থেকে ২৭৫ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ২৯০ থেকে ২৯৫ টাকা।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি ব্যবসায়ীরা সোনালি মুরগির প্রতি কেজি ২৯০ টাকা থেকে ২৯৫ টাকায় বিক্রি করলেও পরে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে এর দাম দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৩১০ টাকা থেকে ৩২০ টাকায়।
গত সপ্তাহের তুলনায় শুক্রবার কমেছে বেগুন, কাঁচা মরিচ, বেগুন, ভেন্ডি, ফুলকপি, লাল শাক, করলা, টমেটো, করলা, চিচিঙ্গা ও সাদা মুলাসহ সবজির দাম।
ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি শিম ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ৬০-৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১১০-১২০ টাকা।
প্রতি কেজি বেগুন ৬০ টাকা, ভেন্ডি ৫০ টাকা, মিষ্টি লাউ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি, ফুলকপি প্রতি পিস ৪০-৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা পিস, সাদা মুলা প্রতি কেজি ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, শসা ৪০ টাকা কেজি, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা কেজি এবং লেবুর হালি ১৫ থেকে ২০ টাকা।
সবজির দাম কমলেও টমেটোর দাম এখনও তুলনামূলক বেশি। ব্যবসায়ীরা টমেটো বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ১২০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ টাকা।
মিরপুর-১ এর সবজি বিক্রেতা সাইফুর রহমান বলেন, বাজারে শীতের সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় এ সপ্তাহে সবজির দাম তুলনামূলক কম।
তবে, বেশিরভাগ ভোক্তাই এখনও পণ্যের দাম বৃদ্ধি, বিশেষ করে শাকসবজির দাম নিয়ে অসন্তুষ্ট।
রাজধানীতে স্থিতিশীল রয়েছে পেঁয়াজের দাম। বিভিন্ন বাজারে দেশি পেয়াজ কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত ১৭ নভেম্বর বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রব্যমূল্য যতদিন বাড়বে, ততদিন বাংলাদেশে পণ্যের দাম কমবে না।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ৩ নভেম্বর থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ট্রাক সেল শুরু করেছে। করপোরেশন সয়াবিন তেল ও মসুর ডালের দামও বাড়িয়েছে।
গত ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৭ টাকা এবং পাম অয়েলের দাম লিটারে ৩ টাকা বাড়িয়েছে। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম বর্তমানে ১৩৬ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৭৬০ টাকা এবং প্রতি লিটার পাম তেল ১১৮ টাকা।
দেশীয় বাজারে দুই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ১৪ সেপ্টেম্বর সরকার পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে এবং চিনির ওপর ১০ শতাংশ কমিয়ে দেয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো প্যাকেটজাত ও খোলা চিনির নতুন দাম নির্ধারণ করে সরকার।
প্রতি কেজি খোলা চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে ৮০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির মূল্য ৭৫ টাকা নির্ধারিত হলেও বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়।