প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

করোনায় বাড়ছে বিদেশি ফলের চাহিদা

২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:০৯:৩০ | আপডেট: ৩ years আগে
করোনায় বাড়ছে বিদেশি ফলের চাহিদা

মোহাম্মদ নাহিয়ান

মানুষের ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিদেশি ফলের চাহিদা বাড়ছে।

এসব ফলের মধ্যে কমলা, ডালিম, খেজুর, ম্যান্ডারিন, কিন্নো, আপেল, আঙ্গুর, কমলা এবং নাশপাতি জাতীয় ফলগুলো প্রধানত চীন, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, মিশর, ভুটান, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ড এবং অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা হয়।

তবে ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে কমলা আসে এবং চীন এবং ভারত উভয় দেশ থেকে আঙ্গুর আসে আমাদের দেশে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে ফল আমদানির পরিমাণ ৩৯.১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৮০ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছর ছিল ৩৪৫ মিলিয়ন ডলার।

লক্ষ্য করা গেছে বিপুল সংখ্যক ক্রেতা মিরপুর, কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেটসহ শহরের বিভিন্ন বাজারে পাওয়া আমদানিকৃত ফলের দিকে ঝুঁকছেন।

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো সিরাজুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ফলের চাহিদা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। কারণ এমন অনেক ফল আছে যা দেশে স্থানীয়ভাবে চাষ করা হয় না।

তিনি আরও বলেন, মানুষের আয় বাড়ায় ফলের চাহিদা বেড়েছে।

গ্রামে ও শহরে সহজেই দোকান পাওয়া যাওয়ায় ফলের বাজার বাড়ছে। এখন শহরে রাস্তার ধারে বিক্রেতাদেরও বিদেশি ফল বিক্রি করতে দেখা যায়।

সিরাজুল ইসলাম জানান, করোনায় লকডাউনের সময় তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে কারণ তারা আমদানি করতে পারেনি।

তিনি আরও জানান, করোনার পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় বর্তমানে তাদের আমদানির খরচ বেড়েছে।

মিরপুর-১ নম্বর বাজারের ফল ব্যবসায়ী আসলাম আহমেদ বলেন, বর্তমানে আমদানিকৃত ফলের মধ্যে কমলা, ডালিম, খেজুর, ম্যান্ডারিন, কিন্নো, আপেল, আঙ্গুর, কমলা এবং নাশপাতির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

উচ্চবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষেরা প্রধানত আমাদের কাছ থেকে ফল কিনছে। তবে দাম বেশি হওয়ার কারণে নিম্নবিত্তরা এ ফল কেনে না।

কারওয়ান বাজারের রেডওয়ানুল হক নামে এক ক্রেতা দ্য বিজনেস পোস্টে'র সাথে আলাপকালে বলেন, দাম বেশি হওয়ায় আমি এখানে অল্প পরিমাণে ফল কিনতে এসেছি। অন্য যে কোনো কিছুর চেয়ে ফল পছন্দ করি কারণ এগুলো মহামারির এ সময় আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করছে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) তথ্যমতে, দেশে ১১.৬৮ মিলিয়ন টন ফলের চাহিদা রয়েছে। একজন ব্যক্তিকে তারা প্রতিদিন ২০০ গ্রাম ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, একজন মানুষকে দৈনিক ৮২ গ্রাম ফল খেতে হবে।

এগ্রিকালচার ইনফরমেশন সার্ভিসের (এআইএস) মতে, দেশে মোট ৭২ ধরনের ফলের চাষ করা হয়। এর আগে সারা দেশে ৫৬ ধরনের ফলের চাষ করা হতো।

ফল ব্যবসায়ীরা জানান, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পেয়ারা, কাঁঠাল, আম, কলা, সবুজ নারকেল, আনারস, পেঁপে এবং তরমুজেরও বাজারে অনেক চাহিদা রয়েছে।