করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই আজ থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে রপ্তানিমুখী সব শিল্প-কারখানা। শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ায় রোববার সকাল থেকেই সড়কে মানুষের চাপ কিছুটা বেড়েছে।
এদিকে শ্রমিকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এদিন বেলা ১২টা পর্যন্ত বাস ও লঞ্চ চলাচল চালু রাখার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
এ ঘোষণার পর থেকে সড়কে গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা যায়। তবে প্রয়োজনের তুলনায় এ ছিল একেবারেই নগন্য।
রোববার রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে এসব চিত্র দেখা যায়।
গণপরিবহন না থাকলেও সড়কজুড়ে রাজত্ব করছে রিকশা ও ব্যক্তিগত যানবাহন। এসময় বিধিনিষেধের অন্যান্য দিনের চেয়ে সিএনজির চলাচলও অনেকটা বেড়েছে।
এর আগে গত ৩০ জুলাই রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলার ঘোষণা দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
শিল্প-কারখানার খুলে দেওয়ার ঘোষণার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেন শ্রমিকরা। আর তাতে শনিবার দিনভর রাজধানীর সবকয়টি প্রবেশমুখে ছিল শ্রমিকদের উপচে পরা ভিড়।
কয়েকগুণ ভাড়া ও সীমাহীন দুর্ভোগকে সঙ্গী করে রাজধানীতে ফেরেন কর্মস্থলে যোগ দিতে আসা শ্রমিকরা। এরপর রোববার কর্মস্থলে যোগ দিতে যেতেও ভোগান্তিতে পড়েন তারা। গণপরিবহন না থাকায় পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে যোগ দিতে দেখা যায় তাদের।
এদিকে গতকাল বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, রোববার কাজে যোগ না দিলেও শ্রমিকরা চাকরি হারাবে না। তবে ঢাকায় ফেরা শ্রমিকরা বলছেন উল্টো কথা। তারা জানান, প্রতিষ্ঠান থেকে তাদেরকে জানানো হয়েছে রোববারের মধ্যে কর্মস্থলে যোগ না দিলে তাদের চাকরিচ্যুর করার কথা বলা হয়েছে।