কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত কৃষি খাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তারপরও এ মুহূর্তে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আরও প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকালে ইতালির রোমে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বিশ্ব খাদ্য ফোরামের ‘বিনিয়োগ সম্মেলনের’ উদ্বোধন অনুষ্ঠান-পরবর্তী সেশনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদনকে টেকসই করতে এবং কৃষিখাতের রূপান্তরের জন্য জাতীয় কৃষি নীতি-২০১৮ বাস্তবায়ন চলছে। ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত সময়ে এ খাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার (৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার) বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিনিয়োগ ৩০ হাজার ২০০ কোটি টাকা (৩ দশমিক২ বিলিয়ন ডলার)। আর বাকি অর্থের জোগান দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো।
মন্ত্রী কৃষিতে বিনিয়োগ উপস্থাপন বিষয়ক বাংলাদেশের নির্ধারিত সেশনে দেশের কৃষিখাতে বিনিয়োগ পরিকল্পনা, প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাবনা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিকল্পনায় কোল্ডস্টোরেজ স্থাপন ও সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণন, ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহার এই ছয়টি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এসব খাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের অবকাঠামো ও সরকারি সুযোগসুবিধার বিস্তারিত তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, দেশে বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে। বাংলাদেশে কৃষিতে বিনিয়োগের জন্য কৃষিখাত খুবই সম্ভাবনাময় এবং তা লাভজনক হবে। বিশেষ করে আলু, পেঁয়াজ, আম, কাঁঠাল, আনারস ও টমেটো-এসব পণ্যের জন্য কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন, সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনে দ্রুত বিনিয়োগ কামনা করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশে পেঁয়াজ, আম ও টমেটোসহ শাকসবজি সংরক্ষণের এখনো তেমন প্রযুক্তি নেই, কোল্ডস্টোরেজ নেই। এছাড়া এসব পণ্য সংগ্রহোত্তর পর্যায়ে ২৫-৪০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়। সেজন্য দ্রুত ২০০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ১১০০টি মাল্টিপারফাজ কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন।