প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ফ্লোর প্রাইস দিতে বাধ্য হয়েছি: বিএসইসি চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক
৩১ জুলাই ২০২২ ১৪:২৫:২৯ | আপডেট: ৩ years আগে
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ফ্লোর প্রাইস দিতে বাধ্য হয়েছি: বিএসইসি চেয়ারম্যান

ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে শেয়ারবাজারে ফ্লোর প্রাইস দিতে কমিশন বাধ্য হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

তিনি বলেন, আমরাও দর কমার ক্ষেত্রে ২ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার এবং ফ্লোর প্রাইস দিতে চাই না। কিন্তু সাধারন বিনিয়োগকারীদেরকে রক্ষা করার জন্য দিতে বাধ্য হই। কারণ আমাদের দেশে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেশি। উন্নত দেশে শিক্ষিত ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এমনটি করা লাগে না।

রোববার ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম আয়োজিত ‘সিএমজেএফ টক উইথ বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আরও পড়ুন- বিনিয়োগকারীদের উত্তেজিত না হওয়ার আহ্বান

সিএমজেএফ সভাপতি জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে সিএমজেএফের সাধারণ সম্পাদক আবু আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে অনলাইন, প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি কোম্পানির তালিকাভুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন শিগগিরই পুঁজিবাজারে একটি সরকারি বিদুৎ ও একটি গ্যাস কোম্পানি আসবে।

কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বড় বিনিয়োগকারীরা সাপোর্ট দেবেন বলার পরেও বাজারের পতনের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ওই সভার পরে বড় বিনিয়োগকারীরা কিনেছিল। তবে আমাদের দেশে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেশি। তারা এতো পরিমাণ বিক্রির চাপ দিচ্ছিলেন, যা বড়রা কুলিয়ে উঠতে পারেনি। এর মধ্যে আবার নানা ধরনের নেতিবাচক খবর বাজারে প্রভাব ফেলছে।

আরও পড়ুন- বাংলাদেশের রিজার্ভ বাড়াতে আইএমএফের ঋণ: ব্লুমবার্গ

তিনি বলেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিজেদেরকে পোর্টফোলিও ম্যানেজ করতে হয় না। যা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রফেশনাল লোকজন দিয়ে ম্যানেজ করা হয়। যার ফলে ভালো রিটার্ন পাওয়া যায়। গত ২ বছরের বিশ্লেষণে ৮০-৯০% মিউচ্যুয়াল ফান্ড থেকে ১০%-১২% লভ্যাংশ দিতে দেখেছি। এ বছরও ভালো লভ্যাংশ দেবে বলে আশা করছি। তাই যারা বাজার ভালো বুঝেন না, তারা মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন।

রোড শোর সফলতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বিদেশে টাকা আনতে যাই না। দেশকে ব্র্যান্ডিং করতে যাই। দেশের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরতে যাই। এখন অনেকেই বাংলাদেশকে ভালোভাবে জানে। যে কারণে অনেকে আমাদের দেশে বিনিয়োগের জন্য যোগাযোগ করছেন।

আরও পড়ুন- লাইসেন্স ছাড়া ডলারের ব্যবসা করলেই ব্যবস্থা

ক্যাপিটাল ম্যার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে (সিএমএসএফ) অবন্টিত লভ্যাংশ না দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, যারা এখনও দেয়নি, তাদেরকে জরিমানাসহ আগামিতে দিতে হবে।

অধ্যাপক শিবলী বলেন, ভালো কোম্পানি আনার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। তবে সবাই চায় ভালো অ্যাকাউন্টস জমা দিয়ে আসতে। এ কারণে অনেকে আসার জন্য অপেক্ষা করছে। হয়তো জুন ক্লোজিংয়ের হিসাবে কয়েকটি ভালো কোম্পানির আবেদন জমা পড়তে পারে। সেপ্টেম্বরে কিছু ভালো কোম্পানি আইপিও আবেদন করবে।