বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে ৬৫০ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাংস ব্যবসায়ীরা। বুধবার বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স এসোসিয়েশনের (বিডিএ) সঙ্গে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
রাজধানীর বিডিএ’র কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির (বিএমটিএ) মহাসচিব রবিউল ইসলাম, বিডিএ সভাপতি ইমরান হোসেনসহ আরো অনেকে।
চলতি বছরের শুরু থেকে মাংসের দাম বেড়ে ৮০০ টাকা হয়। এতে সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেলে মাংস বিক্রি প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। ফলে লোকসানে পড়েন বিক্রেতারা। তাই বাধ্য হয়ে অনেক ব্যবসায়ী গত দুই সপ্তাহ ধরে ৬০০-৬৫০ টাকায় মাংস বিক্রি করেন। অনেকে দাম কমিয়ে ৫৮০ টাকাতেও নামিয়ে আনেন।
এমন পরিস্থিতিতে মাংস ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি বৈঠক করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
গত রোবার অনুষ্ঠিত সভায় ব্যবসায়ীদের একটি অংশ অভিযোগ করেন, কেউ কেউ প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। তাতে কয়েকজন ব্যবসায়ীর হাতে চলে যাচ্ছে গরুর মাংসের বাজার। ফলে পাড়া-মহল্লার অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসা করতে পারছেন না। যেসব ব্যবসায়ী কম দামে মাংস বিক্রি করছেন, তাঁদের প্রতি নানা ধরনের ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলেন অভিযোগকারী ব্যবসায়ীরা। এতে সভায় অন্তত পাঁচবার উত্তেজনা দেখা দেয়। তখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি সব পক্ষকে কথা বলার সুযোগ দিলেও ঢাকার মাংস ব্যবসায়ীদের একাংশের মধ্যে সভা শেষ হওয়া পর্যন্ত একধরনের অসন্তোষ দেখা গেছে। তাদের অভিযোগ, কিছু ব্যবসায়ী কম দামে মাংস বিক্রি করে বাজার নষ্ট করছেন। অভিযোগকারীরা ৬০০ টাকায় মাংস বিক্রি করতে চান না।
শেষ পর্যন্ত সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বুধবার বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি, বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ (বিডিএফএ) ব্যবসায়ীদের সব পক্ষ বসে গরুর মাংসের দাম কত হবে, তা ঠিক করবে। ওই সভার সিদ্ধান্ত আগামী রোববারের মধ্যে ভোক্তা অধিদপ্তরে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে হবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনও (বিটিটিসি) গরুর মাংসের বাজার যাচাই করবে।