প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

গ্রামীণফোনের ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

২২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন
নিজস্ব প্রতিবেদক
০২ মে ২০২৩ ১৯:৩২:৪২ | আপডেট: ২ years আগে
গ্রামীণফোনের ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

গ্রামীণফোনের ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে মঙ্গলবার। শেয়ারহোল্ডারদের অর্থবহ অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা পরিচালনা করে গ্রামীণফোন।

এবার এজিএম চলাকালে গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ ২০২২ সালের জন্য পরিশোধিত মূলধনের ৯৫ শতাংশ হারে (অর্থাৎ, প্রতি ১০ টাকার শেয়ারে ৯.৫ টাকা প্রতি শেয়ার) চূড়ান্ত আর্থিক লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে। এ নগদ লভ্যাংশের পরে পরিশোধিত মূলধনের মোট চূড়ান্ত লভ্যাংশের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২০ শতাংশ, যার মধ্যে রয়েছে পূর্ববর্তী ১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ, এ হিসাবে ২০২২ সালে কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৯৮.৭২ শতাংশ।

গ্রামীণফোনের কোম্পানি সচিব এস এম ইমদাদুল হকের পরিচালনায় ভার্চুয়াল এজিএমে অংশ নেন গ্রামীণফোনের বোর্ড চেয়ারম্যান ইয়র্গেন সি. অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপ ও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমানসহ বোর্ড সদস্য এবং প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

গ্রামীণফোনের বোর্ড চেয়ারম্যান ইয়র্গেন সি. অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপ বলেন, ‘২০২২ সালে গ্রামীণফোন বাংলাদেশের লক্ষাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কোটি মানুষের জন্য মোবাইল কানেক্টিভিটি সেবাদানের ২৫ বছর পূর্তি করে। তাই, ২০২২ সাল গ্রামীণফোনের জন্য এক অনন্য মাইলফলকের বছর।’

রোস্ট্রাপ বলেন, ‘প্রতিকূল নিয়ন্ত্রক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ এটি জানাতে পেরে আনন্দিত যে কোম্পানি টপ-লাইন বৃদ্ধি, নেটওয়ার্কে বিনিয়োগ, বাজার সক্রিয়তা আর প্রতিষ্ঠান জুড়ে ডিজিটাল রূপান্তর এবং আধুনিকীকরণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে অনন্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। ’

বিশাল গ্রাহক সংখ্যার ক্রমবর্ধমান ডেটা চাহিদা মেটাতে দেশে সবচেয়ে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক অভিজ্ঞতা দিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণফোন। ভবিষ্যত উদ্ভাবনীর পথ দেখাতে দেশের প্রধান শহরগুলিতে ফাইভজি ট্রায়াল পরিচালনাকারী অন্যতম মোবাইল অপারেটর হিসেবে স্থান করে নিয়েছি আমরা”।

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘সবসময়ের মতো ২০২২ সালেও আমরা গ্রাহকদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করেছি। তাদের চাহিদা পূরণে ও উন্নত অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে ধারাবাহিক বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা আধুনিকায়নের করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’

ইয়াসির আজমান বলেন, ‘২৬০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের নিলামে আমরা সর্বোচ্চ অধিগ্রহণযোগ্য ৬০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দ নিয়েছি এবং নেটওয়ার্কের বিস্তৃতিতে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছি। সকল প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও, আমরা আমাদের নেটওয়ার্কের সক্ষমতা নিরবচ্ছিন্ন রেখেছি ও ক্রমাগত উদ্ভাবন করেছি। আমাদের কাস্টোমাইজড প্রোডাক্ট পোর্টফোলিও আরও উন্নত করার মধ্য দিয়ে আমরাই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ই-সিম নিয়ে এসেছি। সমাজের ক্ষমতায়নের লক্ষ্য নিয়ে প্রান্তিক মানুষের কাছেও কানেক্টিভিটি পৌঁছে দিয়েছি। বাংলাদেশের তরুণদের ভবিষ্যতের জন্য দক্ষ করে তুলতে আমরা সরকারি, বেসরকারি ও উন্নয়ন সংস্থার সাথে অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে ২০২২ সালে আমরা শক্তিশালী আর্থিক সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছি ও গ্রাহক অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের গ্রাহক, অংশীদার ও অংশীজনদের জীবনের মানোন্নয়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একইসাথে, বাংলাদেশের ডিজিটাল কানেক্টিভিটি পার্টনার হিসেবেও আমরা নিরলস কাজ করে যাবো।’