চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে সিপাহী পদে লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ায় মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসা ২৩ জনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার ১৮ জন ও আজ বুধবার সকালে ৫ জনকে চট্টগ্রাম পাহাড়তলী থাকায় হস্তান্তর করার পাশাপাশি দুটি পৃথক মামলাও দায়ের করা হয়েছে বলে জানান পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রোজিনা খাতুন।
২৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ২৩ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
কাস্টম সূত্রে জানা গেছে, ৯৮ জন সিপাহী পদে ৩৩৪৪ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছিল। এর মধ্যে গত ২২ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৫০ জন প্রার্থী সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেয়। লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতির বিষয় মৌখিক পরীক্ষার সময় ধরা পড়ায় ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান নিয়োগ পরীক্ষায় সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
কাস্টমস কর্মকর্তারা বলেন, মূলত ২০১৪ ও ২০১৭ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও নানান জটিলতায় পরীক্ষা সম্পন্ন করা যাচ্ছিল না। দীর্ঘদিন পর পরীক্ষা হওয়ায় চাকরীর প্রার্থীদের আবেদনের ছবির সাথে বর্তমান চেহারার অনেক পরিবর্তন এসেছে। ফলে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি চক্র মূল প্রার্থীর বদলে অন্যজনকে দিয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়েছে। মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষাদের হাতের লেখা মিলিয়ে লিখিত পরীক্ষার খাতার সাথে সাদৃশ্য না পাওয়ায় তাদের আটক করা হয়েছে।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর জালিয়াতির মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষা দিতে আসা ৭ জনকে আটক করে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছিল।
মামলার এজহারে বলা হয়েছে, প্রথমিকভাবে আটককৃত ১৮ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেয়ার সময় তাদের হাতের লেখা গড়মিল পরিলক্ষিত হয়। একইসঙ্গে লিখিত পরীক্ষার খাতার লেখা কোন প্রশ্নের জবাবও দিতে পরেন নাই। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে ১০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে কৌশলে লিখিত পরীক্ষায় ভিন্নজনকে দিয়ে পক্সি দিয়েছিলেন।