দেশের পুঁজিবাজারে দুটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। কোম্পনিগুলো হলো- গ্রামীণফোন এবং রবি। ২০২২ সালের জানুয়ারি-জুন প্রান্তিকে দুই অপারেটরের আয়ই কমেছে।
গ্রামীণফোন
চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন পর্যন্ত সময়ে বেসরকারি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোনের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১২.৮২ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয়( ইপিএস) ছিল ১২.৮৯ টাকা। সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় কমেছে ৭ পয়সা।
চলতি বছরের এপ্রিল-জুন পর্যন্ত সময়ে গ্রামীণফোনের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬.৮২টাকা, যেখানে গত বছরের একই সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৬.৩০ টাকা।
বৃহস্পতিবার দিনশেষে কোম্পানিটি গতকালের তুলনায় ৪০ পয়সা বেড়ে ২৮৭ টাকায় লেনদেন হয়েছে।
চলতি বছরের ২৯ জুন, সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন থাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য গ্রামীণফোনের সিম বিক্রি নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)।
২০০৯ সালে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় গ্রামীণফোন।
রবি
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অপর মোবাইল কোম্পানি রবির শেয়ার প্রতি আয় কমেছে ১০ পয়সা। চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন রবির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.০৫ টাকা। গত বছরের একই সময়ে রবির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১৫ পয়সা।
এ বছরের এপ্রিল-জুন পর্যন্ত সময়ে রবির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২ পয়সা। যেখানে গত বছরের একই সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৯ পয়সা।
দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশকালে রবি জানায়, চলতি বছরে বিপুল পরিমাণ আয় হলেও ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাবার ফলে রবির মোট লোকসান হয় ১৭২ কোটি টাকা। যার প্রভাব পড়েছে রবির ইপিএসে।
বৃহস্পতিবার দিনশেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৩০ টাকা।
২০২০ সালে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় রবি।