টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। এই রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ও চামড়া শিল্পের উন্নয়নে মালিক- শ্রমিকসহ সবাইকে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে।
রাজধানী ঢাকার বাংলামটরে বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন (বিএলএফ) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চামড়া শিল্পের উন্নয়নে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের করণীয় বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
বিএলএফ চেয়ারম্যান ও প্রবীণ শ্রমিক নেতা আবদুস সালাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সরকারের সাথে দুই মেয়াদী চামড়া শিল্পের ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন বক্তারা।
বক্তাদের মধ্যে ছিলেন, বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন (বিএলএফ) এর মহাসচিব জেড.এম কামরুল আনাম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বাংলা বিভাগের প্রধান বার্তা সম্পাদক রুহুল গণি জ্যোতি, বাংলাদেশ লেবার রাইটস সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি কাজী আবদুল হান্নান ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, বিএলএফ-এর প্রোগাম কো অডিনেটর খন্দকার ফয়সাল আহমদ বক্তব্য রাখেন ।
চামড়া শিল্পের উন্নয়ন ও সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করণে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ দুই বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনার মূল বক্তব্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান খান।
তিনি বলেন, চামড়া শিল্পের উন্নয়নে শ্র্রমিকদের স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা ও সোশাল কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়নে মালিক পক্ষ, শ্রমিক পক্ষ ও সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণে একটি পূর্ণাঙ্গ কৌশলপত্র প্রণয়ন করা দরকার।
বিএলএফ এর মহাসচিব জেড এম কামরুল আনাম বলেন, চামড়া শিল্প ও শ্রমিক রক্ষায় যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে যে একশন প্লান বা কর্মপরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে তা বাস্তবায়নে সরকার, মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি পণ্য হিসেবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ভবিষ্যতে এই খাতে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। মালিকদের উচিত অবশ্যই শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা। ফ্যাক্টরিতে সোশ্যাল কম্পলায়েন্স নিশ্চিত করতে চাইলে এর কোন বিকল্প নেই।