প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

চারদিন পর বন্দরে ঢুকেছে আটকে পড়া দুই বাণিজ্যিক জাহাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫ অক্টোবর ২০২১ ২০:৫০:০৪ | আপডেট: ৩ years আগে
চারদিন পর বন্দরে ঢুকেছে আটকে পড়া দুই বাণিজ্যিক জাহাজ

অবশেষে মোংলা বন্দরে প্রবেশ করেছে আটকে পড়া দুই বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ।

মঙ্গলবার দুপুরের পর পানামা পতাকাবাহী 'এম ভি সিএস ফিউচার' হারবাড়িয়া-৮ ও টুভ্যালু পতাকাবহী 'এম ভি পাইনিয়র ড্রিম' হারবাড়িয়া-১১ নম্বর বয়ায় নোঙ্গর করে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে নাব্যতা সংকটের কারণে চারদিন ধরে বন্দর চ্যানেলের বাইরে আউটারবারে (বহিঃনোঙ্গর) আটকে পড়ে জাহাজ দুইটি। ঘটনাস্থলের নাব্যতা সংকট নিরসনে গত ৩ অক্টোবর একটি হোপার ড্রেজার পাঠিয়ে সেখানে খনন করা হয়। এরপর জাহাজ দুইটি হাড়বাড়িয়ায় উঠে এসেছে।

আউটারবারে সাড়ে ৯ মিটার জাহাজ প্রবেশে ড্রেজিং করা হলেও মোংলা বন্দরে আসা জাহাজ দুইটি ছিলো সাড়ে ৯ মিটারেরও কম।

এ প্রসঙ্গে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন বলেন, আউটারবারে ড্রেজিং করার পর ওই জায়গায় আবার পলি পড়ে ভরাট হয়। এরপর বর্ষা মৌসুমে আরও খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এখন আউটারবারে ড্রেজিং করতে একটি হোপার ড্রেজার পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্য ২৩ হাজার মেট্টিক টন ইউরিয়া সার নিয়ে নয় দশমিক তিন মিটারের পানামা পতাকাবাহী এম ভি সিএস ফিউচার জাহাজ হিরণপয়েন্টের পাইলট ষ্টেশনে নোঙ্গর করে।

এরপর ১ অক্টোবর ১১ হাজার মেট্টিক টন সিরামিক পণ্য নিয়ে আসে নয় দশমিক ২৫ মিটার গভীরতার টুভ্যালু পতাকাবাহী আরেক বিদেশি জাহাজ এম ভি পাইনিয়র ড্রিম।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল ও হাইড্রোলিক) ও আউটারবার ড্রেজিংয়ের পিডি (প্রকল্প পরিচালক) মোঃ শওকত আলী বলেন, প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মোংলা বন্দরে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে আউটারবারে ড্রেজিং শেষ হয়। এখন সেখানে কিছুটা পলি পড়ে গভীরতা কমে যাওয়ার কারণে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে হোপার ড্রেজার দিয়ে সেটি পুনরায় খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।