ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য একটি ব্যবসায়িক প্ল্যাটফর্ম চালু করতে যাচ্ছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এটি চালু হবে।
ডিএসই’র তথ্যমতে, প্রাথমিকভাবে ৬টি কোম্পানির শেয়ার ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে শুরু হবে এর যাত্রা।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের অংশগ্রহণে রাজধানীর ডিএসই টাওয়ারে এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের প্রধান শেয়ার বাজার কর্তৃপক্ষ।
৬টি কোম্পানির মধ্যে ২টি সম্প্রতি যোগ্য বিনিয়োগকারী অফারের (কিউআইও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে তহবিল সংগ্রহ করেছে এবং বাকি ৪টি সম্প্রতি ওভার-দ্য-কাউন্টার (ওটিসি) বাজার থেকে সরানো হয়েছে।
দুটি নতুন কোম্পানি- মাস্টার ফিড এগ্রোটেক এবং ওরিজা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ - প্রত্যেকে ১০ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করেছে। ওটিসি বাজার থেকে আসা বাকি চারটি প্রতিষ্ঠান হল বেঙ্গল বিস্কুট, এপেক্স উইভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলস, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়স এবং হিমাদ্রি লিমিটেড।
পুঁজিবাজারের এ এসএমই প্ল্যাটফর্মে ন্যূনতম ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে তারা কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন করতে পারবেন।
১৬ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিএসইসি জানায়, স্টক এক্সচেঞ্জের ইলেকট্রনিক সাবসক্রিপশন সিস্টেমে নিবন্ধিত যেকোন বিনিয়োগকারীকে এসএমই’র সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হতে হলে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে সর্বনিম্ন ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর স্পন্সর, পরিচালক এবং প্রোমোটারদের সেকেন্ডারি মার্কেট, এসএমই প্ল্যাটফর্মে লেনদেনের উদ্দেশ্যে যোগ্য বিনিয়োগকারী হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
এর আগে, ওটিসি বাজার ভেঙে দেয় এবং ২৩টি ওটিসি কোম্পানিকে এসএমই প্ল্যাটফর্মে এবং অন্যান্য ১৮টি কোম্পানিকে দেশের স্টক এক্সচেঞ্জের বিকল্প ট্রেডিং বোর্ডে (এওটিবি) যাওয়ার অনুমতি দেয় বিএসইসি।