আগামীকাল সোমবার “বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন (জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল)” আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প নির্মাণ কাজ শুরু করেছে বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান সিংগার, চুক্তি হয়েছে জার্মান কোম্পানি রুডলফের সাথেও।
জানা যায়, এ অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধনের দিনেই আরও দুই জাপানিজ বিনিয়োগকারীর সাথে চুক্তি স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে। এছাড়াও প্রায় ৩০টি জাপানি এবং অন্যান্য দেশের ১০টি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছেন।
পুরো অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হলে এখানে আনুমানিক ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এছাড়া এখানে প্রাথমিকভাবে লক্ষাধিক লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
রোববার বেজা কার্যালয়ে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।
বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড থেকে জানা যায়, এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ব্যবসা সম্প্রসারণে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠেছে জাপানিজ বিনিয়োগকারীরা। প্রতিনিয়ত তারা জোনটি পরিদর্শন করছে।
বেজা চেয়ারম্যান বলেন, আগামীতে হাজার হাজার তরুণের স্বপ্নের গন্তব্য হবে জাপানিজ জোন এবং জাপান-বাংলাদেশের মধ্যে টেকনোলজি ট্রান্সফারের পথও সুগম হবে।
জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণে ২০১৯ সালে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে প্রস্তাবিত এলাকায় জমি অধিগ্রহণ ও ভূমি উন্নয়ন কাজ শুরু করে বেজা। সেখানে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ৫০০ একর ভূমি উন্নয়ন কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। পাশাপাশি নির্মাণ করা হয়েছে সংযোগ সড়ক, নিশ্চিত করা হয়েছে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা।
এ পর্যন্ত কোম্পানির অনুকূলে ১৮০ একর উন্নত জমি বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোনকে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তা শিল্প-কারখানা তৈরির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। অবশিষ্ট জমি খুব শীঘ্রই হস্তান্তর করা হবে বলেও জানা গেছে।
এর আগে ২০১৬ সালে ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন কাজের শুভ সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে অর্থনৈতিক অঞ্চলে কয়েকটি শিল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
সবশেষ গত ২০ নভেম্বর "স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে অর্থনৈতিক অঞ্চলের ৫০টি শিল্প ও অবকাঠামো উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন" করেন প্রধানমন্ত্রী। যার মধ্যে ছিলো ভারতের এশিয়ান পেইন্টস, জাপানের নিপ্পন স্টিল, বাংলাদেশ ম্যাকডোনাল্ড ও টি কে গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সামুদা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।
