জেলায় বাণিজ্যিকভাবে পাঙ্গাশ মাছ চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন চাষিরা। পিকেএসএফের সার্বিক সহযোগিতায় বেসরকারি সংস্থা জেআরডিএমের ব্যবস্থাপনায় নতুন প্রযুক্তিতে দুর্গন্ধমুক্ত পাঙ্গাশ মাছ চাষ করে এ সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার চক জয়কৃঞ্চপুর গ্রামের মৎস্য চাষি ইউসুফ আলীর সঙ্গে কথা বলে জানান, তিনি দীর্ঘদিন পাঙ্গাশ মাছ চাষ করে উৎপাদন খরচ বেশি ও মাছে গন্ধ থাকায় লোকসানে ছিলেন। ঠিক এমন সময় পিকেএসএফের সহযোগিতায় বেসরকারি সংস্থা জেআরডিএমের নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে অফ ফ্লেভারমুক্ত পাঙ্গাশ মাছ চাষ করে বিগত সময়ের ক্ষতি পুষিয়ে কম সময়ে অধিক লাভবান হয়েছেন।
শুধু ইউসুফ আলী নয় তার দেখাদেখি ওই এলাকার অনেকেই অফ ফ্লেভারমুক্ত পাঙ্গাশ মাছ চাষ করে এখন বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। সেই সাথে পাঙ্গাশ মাছ চাষের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষ করেও অতিরিক্ত লাভ করেছেন বলে জানান তিনি। এ পর্যন্ত ১০ মণ মাছ বিক্রি করেছেন এই চাষি ।
জেআরডিএমের মৎস্য কর্মকর্তা ইমুনা পারভীন টুম্পা জানান, দুর্গন্ধযুক্ত পাঙ্গাশ চাষে ক্ষতিগস্ত চাষিরা এখন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অফ ফ্লেভার মুক্ত পাঙ্গাশ মাছ চাষ করে বাণিজ্যিকভাবে সফলতা অর্জন করছেন।
মৎস্য খাতকে সমৃদ্ধ করে চাষিদের লাভবান করতে সব ধরনের কারিগরি সহযোগিতার কথা জানালেন জেআরডিএমের সহকারী পরিচালক (প্রকল্প) কৃষিবিদ এন এম ওয়ালিউজ্জামান। পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফের) আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় ইতোমধ্যে জেলার ১০৪ জন মৎস্য চাষির ভাগ্যে উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জেআরডিএম।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরদার মহী উদদীন জানান, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জেআরডিএমের ব্যবস্থাপনায় অফ ফ্লেভার মুক্ত পাঙ্গাশ চাষ করে বাণিজ্যিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় মৎস্য চাষিরা।
সূত্র: বাসস