দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্মে (এসএমই মার্কেট) ২০২২ সালে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪৯ কোটি টাকা। যা ডিএসই’র এ বছরের মোট লেনদেনের ১.০৪ শতাংশ।
এদিকে বছর শেষে এসএমই প্লাটফর্মে তালিকাভুক্ত কোম্পানির বাজার মূলধনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ হাজার ৫৯ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২২ সালে এসএমই উদ্যোক্তাগণ ৬টি কোম্পানির (মামুন এগ্রো প্রোডাক্টস লিমিটেড, কৃষিবিদ সিড লি., স্টার অ্যাডেসিভস লিমিটেড, বিডি পেইন্টস লিমিটেড, আছিয়া সি ফুডস লি. এবং নিয়ালকো অ্যালোস লিঃ) মাধ্যমে ৬১ কোটি টাকা মূলধন উওোলন করে। অপরদিকে ২০২১ সালে ৪টি কোম্পানি ৫৩ কোটি টাকা উত্তোলন করে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে ৬টি এসএমই কোম্পানি নিয়ে স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্মে লেনদেনের সূচনা হয়৷
২০২২ সাল শেষে এ মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫টি।
এসএমই মার্কেটের কোম্পানিগুলো হলো
কৃষিবিদ সীড, কৃষিবিদ ফিড, স্টার অ্যাডহেসিভ, ওরিজা অ্যাগ্রো, বিডি পেইন্টস, মাস্টার ফিড, মামুন অ্যাগ্রো, আছিয়া সী ফুডস, হিমাদ্রি, ইউসুফ ফ্লাওয়ার, মোস্তফা মেটাল, নিয়ালকো, বেঙ্গল বিস্কুট,এপেক্স ওয়েভিং এবং ওয়ান্ডার টয়েস।
এসএমই মার্কেটে বিনিয়োগের শর্তাবলী
প্রথমে এক কোটি, পরে ৫০ লাখ, এরপর ২০ লাখ এবং সবশেষ চলতি বছরের ২২ সেপ্টেম্বর সিদ্ধান্ত আসে, এসএমইতে লেনদেনে যোগ্য বিনিয়োগকারীর শেয়ারবাজারে নূন্যতম ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে।
পুঁজিবাজারে কত টাকা বিনিয়োগ থাকলে এসএমই বোর্ডের শেয়ার কেনা যাবে, এ নিয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) একেক সময় একেক সিদ্ধান্ত আসে।
পুঁজিবাজারে এসএমই মার্কেটে লেনদেনের জন্য কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকার শর্ত দিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সিদ্ধান্ত স্থগিত করে।
চলতি বছরের ১৩ নভেম্বর বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেন।