মালয়েশিয়ার ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘রেডটন-মালয়েশিয়া’ বাংলাদেশে মোবাইলসহ টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
রোববার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সাথে তার দপ্তরে ‘রেডটন-মালয়েশিয়া’র চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাত করে। এসময় প্রতিনিধি দলের নেতা ও ‘রেডটন-মালয়েশিয়ার’ গ্রুপ সিইও লাও বিক সন বাংলাদেশে বিনিয়োগে তার প্রতিষ্ঠানের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতকে বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত লাভ জনক একটি খাত হিসাবে উল্লেখ করেন। তিনি বর্তমান সরকারের বিনিয়োগ বান্ধব নীতি কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে মোবাইল ও টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগে ক্ষেত্রে যে কোন সহযোগিতা প্রদানের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
মোস্তাফা জব্বার বাংলাদেশের টেলিযোগযোগ খাতকে বিনিয়োগের জন্য একটি থ্রাস্ট সেক্টর হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ডিজিটাল সংযোগ হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিত্তি।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রা বাংলাদেশ শুরু করেছে উল্লেখ করে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সাল থেকে গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে বিস্ময়কর সফলতা অর্জন করেছে।
তিনি প্রতিনিধি দলের সদস্যদের জানান, বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন ‘আমরা এখন প্রতিটি গ্রামে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। দেশের প্রায় শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকা ফোর-জি মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে আমরা সক্ষম হয়েছি।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে ২জি, ২০১৩ সালে থ্রি-জি, ২০১৮ সালে ফোর-জি চালু করেছেন এবং ২০২১ সালে তারই নেতৃত্বে ‘ফাইভ-জি প্রযুক্তি যুগে’ বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে।
মন্ত্রী দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের লাগসই উন্নয়নে ‘রেডটন-মালয়েশিয়ার’ যে কোন উদ্যোগ বাস্তবায়নে সম্ভাব্য সব ধরণের সহযোগিতা প্রদানে প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেন।
লাও বিক সন টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশের সফলতার ভূয়শী প্রশংসা করেন এবং ডিজিটাল অবকাঠামো খাতে তিনি তার প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা মন্ত্রীকে অবহিত করেন।