মেহেদী হাসান
দেশের নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ঋণের পুনঃতফসিল নীতি আরও কঠোর করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে ঋণের পুনঃতফসিল ৩ বারের বেশি করতে পারবে না আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।
অননুমোদিত ঋণ বৃদ্ধি এবং এনবিএফআই খাতে নানা অনিয়ম রুখতেই মঙ্গলবার জারি করা এক সার্কুলারে এ সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ঋণ গ্রহীতাদের ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা বিবেচনা না করেই বারবার মেয়াদি ঋণ, গৃহ ঋণ, স্বল্পমেয়াদি কৃষি এবং ক্ষুদ্র ঋণ, লিজ এবং বিনিয়োগে পুনঃতফসিল করছে এনবিএফআই।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, ঋণ পরিশোধের মেয়াদ পুনঃতফসিল এবং ঋণ পুনঃতফসিলের নীতি না মানায় ঋণ আদায়ের প্রকৃত অবস্থা গোপন থাকছে, যে কারণেই ঋণ পুনঃতফসিলের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে নতুন এ নির্দেশিকা দিতে হলো।
পুনঃতফসিলের সুযোগ সর্বোচ্চ ৩ বার নির্ধারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, যেসব ঋণ গ্রহীতা তিনবার ঋণের পুনঃতফসিলের পরও খেলাপি ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হবে, তাদেরকে অভ্যাসগত ঋণ খেলাপি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
সার্কুলারে বলা হয়, কোনো মেয়াদি ঋণ নিন্মমান থাকা অবস্থায় প্রথম দফায় ৪৮ মাস, দ্বিতীয় দফায় ৩৬ মাস ও তৃতীয় দফায় ২৪ মাসের জন্য পুনঃতফসিল করতে পারবে এনবিএফআই।
আর সন্দেহজনক মানে শ্রেণিকৃত অবস্থায় পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে প্রথম দফায় ৩৬ মাস, দ্বিতীয় দফায় ২৪ মাস ও তৃতীয় দফায় ১৮ মাসের জন্য পুনঃতফসিল করা যাবে।
খারাপ মানের ঋণের পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয়বারের জন্য যথাক্রমে ৩৬ মাস, ২৪ মাস এবং ১৮ মাস পর্যন্ত পরিশোধের মেয়াদ বাড়াতে পরবে এনবিএফআই।
পুন:তফসিল করা ঋণের অনাদায়ী কিস্তি ৬টি মাসিক কিস্তি বা ২টি ত্রৈমাসিক কিস্তির সমান হলে তা ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকরণ করতে হবে।
স্বল্প মেয়াদি ঋণের মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখেরর প্রথম দফায় সর্বোচ্চ ১২ মাসের জন্য পুনঃতফসিল করা যাবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ৬ মাস করে নিয়মিত করতে পারবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।
এ নিয়ম লঙ্ঘন করে যদি ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর পরবর্তীতে কোনো পুনঃতফসিলের অনুমতি দেবে না বলেও সতর্ক করা হয় ওই সার্কুলারে।