ঋণ খেলাপি হওয়ার পর ঋণদাতাদের জামানত হিসেবে রাখা সম্পত্তির সঙ্গে লেনদেন করার অনুমতি দিতে নন-ব্যাংকিং সম্পদের বিষয়ে নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার একটি পরিপত্রে নন-ব্যাংকিং সম্পদের নিবন্ধন ও মিউটেশন সম্পন্ন করতে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকৃত দখল নিশ্চিত করতে এবং বকেয়া সামঞ্জস্যের পর সম্পদ ব্যালেন্স শীটে অন্তর্ভুক্ত করতে সকল ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নির্দেশনা অনুসারে, গ্রাহকরা ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে জামানত হিসেবে রাখা সম্পদ ব্যাংকগুলো আইনি উপায়ে দখল করতে পারে এবং সম্পদগুলোকে নন-ব্যাংকিং সম্পদ বলা হয়।
এই নির্দেশনার মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে সম্পদের মূল্য সতর্কতার সঙ্গে মূল্যায়ন করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া তিন সদস্যের একটি কমিটি দ্বারা এই মূল্যায়ন করতে হবে, যারা এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ।
এদিকে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে সম্পদের মূল্য ভিন্ন হলে ভিন্নতার কারণ ব্যাংকের দাখিল করা প্রতিবেদনে সংযুক্ত করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে সম্পদের মূল্যায়ন কমিটি ও মূল্যায়ন সংস্থাগুলো দ্বারা নির্ধারিত মূল্যের মধ্যে নিম্ন মূল্যকে সম্পদের বাজার মূল্য হিসাবে বিবেচনা করতে হবে।
মূল্য নির্ধারণের সময় টিন-ছাদযুক্ত বা আধা-পাকা কাঠামো, অব্যবহারযোগ্য কাঠামো এবং যন্ত্রপাতির মতো সম্পদ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিক্রি করতে হবে এবং ঋণের বিপরীতে আয় জমা দিতে হবে। এই সম্পদগুলিকে নন-ব্যাংকিং সম্পদ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।
নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, টিনের ছাদ বা আধা-পাকার কাঠামো, অব্যবহারযোগ্য কাঠামো এবং যন্ত্রপাতি যে জমিতে রয়েছে তার বাজার মূল্য সেগুলো অপসারণের জন্য প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে নির্ধারণ করতে হবে।