পুঁজিবাজারের ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানি নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের লেনদেন শুরু আগামী মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর)।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে প্রতি ১০ হাজার টাকার আবেদনের বিপরীতে বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা ৪৫টি শেয়ার এবং অনিবাসী বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা ১৮৮টি শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছেন।
গত ৮ জুন বিএসইসির ৮২৬তম কমিশন সভায় নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের বিডিং করার অনুমোদন দেওয়া হয়।
কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৭৫ কোটি টাকা বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০১৫ অনুযায়ী আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলন করার প্রস্তাব অনুমোদনের সিদ্ধান্ত হয়। উত্তোলিত অর্থে কোম্পানির নতুন সাধারণ উৎপাদন ভবন নির্মাণ, নতুন ইউটিলিটি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন নির্মাণ, সেফালোস্পোরিন ইউনিটের সংস্কার, আংশিক ঋণ পরিশোধ এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করা হবে।
কোম্পানির দাখিল করা আর্থিক প্রতিবেদেন অনুযায়ী, ১ জুলাই, ২০২১ থেকে ৩১ মার্চ, ২০২২ পর্যন্ত নয় মাসে পুনর্মূল্যায়নসহ নাভানা ফার্মাসিটিক্যালসের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৫৩ পয়সায়। তবে পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ১৯ টাকা ০২ পয়সা।
আলোচ্য সময়ে শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৯ পয়সা এবং বিগত ৫ বছরের ভারিত গড় হারে শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) ২ টাকা ৫১ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ, ২০২২ তারিখে পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৯ টাকা ০২ পয়সা। আর পুনর্মূল্যায়ন পরবর্তী মূল্য ছিল ৪৩ টাকা ৫৩ পয়সা।
চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৯ পয়সা। আগের হিসাববছরে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ২ টাকা ৫২ পয়সা।
আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিএসইসির দেওয়া শর্ত, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে না।
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।