কাঁচামালের দাম বাড়ায় দেশীয় খুচরা বাজারগুলোতে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা এবং পণ্য কিনতে না পেরে বাড়ি ফিরতেও দেখা গেছে ক্রেতাদের।
সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে দেখা যায়, গত দুই সপ্তাহে নিত্যপণ্যের ১০-২৫ শতাংশ দাম বেড়েছে। এর মধ্যে- মসুর ডাল, পেঁয়াজ, ডিম এবং দুধের দাম সবচেয়ে বেশি।
এদিকে, বোতলজাত ভোজ্য তেল সয়াবিন ও পাম বেশির ভাগ দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে না। যেসব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে লিটারপ্রতি নির্ধারিত মূল্যের ১০-১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। তাই অনেককে তেল কিনতে না পেরে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।
ঈদের আগে সরকার ও কোম্পানিগুলো প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের মূল্য ১৯৮ টাকা এবং পাম তেলের মূল্য ১৭২ টাকা নির্ধারণ করেছিল।
ডিম-
চলতি মাসের শুরুতে পাইকারি বাজারে এক ডজন মুরগির ডিমের দাম ছিলো ৯০ টাকা। কিন্তু এখন খুচরা বাজারে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। কোথাও কোথাও ১৪০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ জাতীয় পোল্ট্রি খামার রক্ষা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাহসিন দ্য বিজনেস পোস্ট’কে বলেন, ‘কাঁচামালের দাম বাড়ায় খামার মালিকদের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তাই ডিমের দাম বেড়েছে। তবে কয়েকদিনের মধ্যে দাম কমে যাবে।’
দুধ-
গুঁড়ো দুধ ও তরল দুধের দামও বেড়েছে খুচরা বাজারে। দেশীয় সব ব্যান্ড প্রতি লিটার দুধে প্রায় ১০ টাকা বা ১৪ শতাংশ দাম বাড়িয়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি লিটার প্যাকেটজাত আড়ং-এর দুধ ৮৫ টাকা এবং প্রাণের দুধ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাথে অন্যান্য ব্র্যান্ডের দুধের দামও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও বাজার বিশেষজ্ঞরা।
মসুর ডাল-
ঈদের আগে প্রতি কেজি বড় মসুর ডালের দাম ছিলো ১০০ টাকা এবং ছোট মসুর ডাল ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এখন কেজিতে প্রায় ১০ টাকা বা ১০ শতাংশ বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ মসুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শফি মাহমুদ দ্য বিজনেস পোস্ট’কে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপণ্যের দাম এবং ডলারের দাম বেশি হওয়ায় আমদানি ব্যয় বেড়েছে। তাই মসুর ডালের দামও বাড়ানো হয়েছে।’
আটা-
রোববার থেকে পাইকারি বাজারে আটার দাম বাড়ায় খুচরা বাজারগুলোতে খোলা আটা কেজিতে ৬ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। সেই সাথে প্যাকেটজাত ময়দারও একইভাবে দাম বেড়েছে।
পেঁয়াজ-
দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজের মজুদ থাকলেও গত ১৫ দিনে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা বা ২৫ শতাংশ বেড়েছে। দুই সপ্তাহ আগে রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। এখন তা ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৮ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, এখন তা ৩৫ থেকে ৩৮ টাকায়। তবে কয়েকদিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।