প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারের আইনগত কার্যক্রম চলমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
২২ জুন ২০২২ ২১:৩৫:০৫ | আপডেট: ৩ years আগে
পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারের আইনগত কার্যক্রম চলমান
ফাইল ছবি (সংগৃহীত)

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের কিছু সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারের আইনগত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ২০১২ সালের ২০ নভেম্বর সিঙ্গাপুরে পাচারকৃত ২০ লাখ ৪১ হাজার ৫৩৪ দশমিক ৮৮ সিঙ্গাপুরি ডলার ফেরত আনা হয়েছে।

বুধবার জাতীয় সংসদে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনের শুরুতে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলদেশ থেকে অর্থ পাচারের সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তবে দেশ থেকে অর্থ পাচারের মাত্রা বা পরিমাণ যা–ই হোক না কেন, পাচারের সম্ভাব্য উৎসগুলো বন্ধ করার পাশাপাশি অর্থ পাচার রোধ এবং পাচারকৃত অর্থ বাংলাদেশে ফেরত আনার বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর এবং এ লক্ষ্যে সরকারের সব সংস্থা একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইউই) পাচারকারী বা পাচারকৃত অর্থের বিষয়ে বিদেশি আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ক্ষেত্রমত দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ পুলিশের সিআইডি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থাকে সরবরাহ করে আসছে।

বিদেশে (যথা-সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, হংকং, অষ্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ইত্যাদি) ফ্ল্যাট বা বাড়ি কেনা অথবা অন্য কোনো পদ্ধতিতে অর্থ পাচারবিষয়ক বেশ কিছু মামলা বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তাধীন। এ ছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দায়েরকৃত পাচার–সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু মামলা চলমান রয়েছে।