প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

পিটিপিআর পেপার: ১২ খাতকে তালিকাভুক্ত করেছে ওইসিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৬ মে ২০২২ ১৮:১৪:৫৭ | আপডেট: ৩ years আগে
পিটিপিআর পেপার: ১২ খাতকে তালিকাভুক্ত করেছে ওইসিডি
সংগৃহীত

বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলোর বিদ্যমান সমস্যা, সম্ভাবনা ও প্রাধান্যশীল বিষয়গুলো গভীরভাবে পর্যালোচনা করে প্রডাকশন ট্রান্সফরমেশন পলিসি রিভিউ (পিটিপিআর) স্ট্র্যাটিজি পেপার তৈরি করছে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনোমিক কো অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)। এ লক্ষ্যে নীটওয়্যার খাতকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে দেশের ১২ টি খাতকে তালিকাভুক্ত করেছে ওইসিডির প্রতিনিধি দল।

গতকাল বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনোমিক কো অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) সেন্টারের প্রতিনিধি দলের সাথে বিকেএমইএ’র বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের সফল উত্তরণে দেশের নীটওয়্যার খাতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা ও তা সমাধানের লক্ষ্যে পিটিপিআর এর অংশ হিসেবে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, সহ-সভাপতি (অর্থ) মোরশেদ সারোয়ার সোহেল, সহ-সভাপতি আকতার হোসেন অপূর্ব, পরিচালক মোস্তফা মনোয়ার ভূঁইয়া।

অন্যদিকে ওইসিডি প্রতিনিধি দলে ছিলেন ইকোনোমিক ট্র্যান্সফরমেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান অ্যানালিসা প্রিমি, ট্রেড অ্যান্ড ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্টের উপদেষ্টা ড্যানিয়েল রবার্ট, অর্থনীতিবিদ ম্যানুয়েল টসেলি, ইন্টার রিজিওনাল অ্যাডভাইজার মেরেজিনি কেটেসা।

বৈঠকে ম্যান মেইড ফাইবারের ব্যবহার বৃদ্ধির বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে আলোচনা হয়।

এ বিষয়ে বিকেএমইএ নেতৃবৃন্দ বলেন, ম্যান মেইড ফাইবারের ব্যবহার উৎপাদন খরচ কমাবে, প্রকৃতির উপর নির্ভরতা কমাবে। অন্যদিকে তৈরি পোশাক উৎপাদনের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্য আদায়ে বায়ারদের সাথে দর কষাকষিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করতেও সহায়তা করবে।

বায়ারদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে বিকেএমইএ নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্পে বিশ্বের প্রথম সারির দেশ। এই খাতের উন্নয়ন ও তা টিকিয়ে রাখা অনেকাংশেই নির্ভর করে ন্যায্যমূল্যের উপর। বায়ারের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্য না পাওয়া এই খাতের জন্য হুমকিস্বরূপ।

জানা যায়, এলডিসিভুক্ত দেশের তালিকাভুক্ত হওয়ায় দেশের তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যে ২০২৯ সালে অগ্রাধিকারমূলক রপ্তানি সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ।

এমন পরিস্থিতিতে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে উৎপাদন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, অপ্রচলিত ও নতুন বাজার অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, অপচয় কমানো, নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস সন্ধানসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।

ইউরোপ ও আমেরিকার বাইরে এশিয়া, লাতিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অপ্রচলিত কিন্তু সম্ভাবনাময় বাজার অনুসন্ধানের বিষয়টিও বৈঠকে উঠে আসে।