পুঁজিবাজারে সূচকের পতন কোনোভাবেই থামছে না। একদিন ঊর্ধ্বমুখী হলে টানা পতন হচ্ছে পরের কয়েক দিন। এ অবস্থায় সূচকের পতন ঠেকাতে শেয়ারের দরপতনের সীমা (সার্কিট ব্রেকার) ফের কমিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বুধবার বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সাক্ষরিত নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম একদিনে ২ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। বৃহস্পতিবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
এর আগে গত ৮ মার্চ শেয়ারবাজারের নেতিবাচক অবস্থা সামলাতে দর কমার সর্বোচ্চ সীমা ১০% থেকে কমিয়ে ২% করেছিল কমিশন। যা পরিবর্তন করে ২০ এপ্রিল ৫% করেছিল। নতুন এ নির্দেশনায় ৫% থেকে কমিয়ে ২% এ নামিয়ে আনা হলো।
তারও আগে ২০২১ সালে সর্বোচ্চ পতনের ২% সীমা বেঁধে দিয়েছিল কমিশন। ওই বছরে ১ম ও ২য় দফায় ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া কোম্পানিগুলোর উপর এ সীমা আরোপ করা হয়।
এদিকে, ডিএসইতে গত কয়েক দিনের মতো আজও অধিকাংশ খাতের দর পতনে চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেন শুরুর পর তিনটি সূচকেরই পতন হয়।
লেনদেনের ১ ঘণ্টা মাথায়, টেক্সটাইল, ইঞ্জিনিয়ারিং, সিরামিকস, বিমা, ওষুধ, খাদ্যসহ বেশিরভাগ খাতের কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে।
এ সময়ে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১৮৭ পয়েন্টে। ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬০ এবং ডিএস৩০ সূচক কেমে ৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ২২৭ পয়েন্টে।