প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

প্রথম প্রান্তিকে আয় কমেছে স্ট্যার্ন্ডাড সিরামিকের

সাখাওয়াত হোসেন সুমন
২১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:৪১:৩৮ | আপডেট: ২ years আগে
প্রথম প্রান্তিকে আয় কমেছে স্ট্যার্ন্ডাড সিরামিকের

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্ট্যার্ন্ডাড সিরমিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অনেক লোকসান করেছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা কারণে বিশ্ব বাজারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির সাথে দেশের বাজারে ডলারের দর বাড়ার কারণে কোম্পানিটির উৎপাদন খরচ বহুগুণ বেড়েছে।

২০২৩ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৯৩ পয়সা নিট লোকসান করেছে। গত বছরের এ সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১ টাকা ২৭ পয়সা।

সে হিসেবে কোম্পানিটির নিট লোকসান চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে আগের বছরেরর তুলনায় ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

এর আগে, কোভিড -১৯ মহামারির কারণেও কোম্পানিটির আয় কমেছিলো, তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ণ এবং জাহাজ বৃদ্ধির কারণে কোম্পানিটির উৎপাদন এবং বিক্রয় উভয়ই বড় পরিসরে কমেছে যার ফলে গত ত্রৈমাসিকে লোকসান বেড়েছে।

স্ট্যার্ন্ডাড সিরমিককের শেয়ার প্রতি লোকসান চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ৩ টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের জন্য ছিল ২ টাক ৩৩ পয়সা।

২০১৯-২০ অর্থবছরে কোম্পানিটি প্রথম ত্রৈমাসিকে ২৩ লাখ মুনাফা করেছিল। কোম্পানিটি পরবর্তী তিন বছরে প্রথম ত্রৈমাসিকে কোনো লাভের মুখ দেখেনি।

২০২০ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৩৭ পয়সা।

শেয়ার প্রতি আয় ছিল ০.৩৭ টাকা।

২০২১ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৩ টাকা ১০ পয়সা। আলোচ্য সময়ে স্ট্যার্ন্ডাড সিরমিকের নিট লোকসান হয়েছিল ২ কোটি টাকা।

স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কোম্পানি সেক্রেটারি জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া দ্য বিজনেস পোস্ট’কে বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আমদানি করা কাঁচামালের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে, যখন শিপিং খরচ বহুগুণ বেড়েছে, যা ফলে কোম্পানিটির আয় কমেছে। তবে সামনের প্রান্তিকে ভালো আয় করার আভাস দিয়েছেন তিনি।

কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট অপারেটিং নগদ প্রবাহ ২০২২ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ের জন্য (২.২২) টাকায় দাঁড়িয়েছে যা ২০২১ সালের একই সময়ের জন্য  ০.৫০ টাকা ছিল।

এর শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ৩.৬৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে যা ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ছিল ৬.৬৬ টাকা।

স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক গাজীপুরের কারখানায় প্রতিদিন ১৩.১ টন টেবিলওয়্যার উৎপাদন করতে পারে। এটি মূলত দেশীয় বাজারে পণ্য সরবরাহ করে।

কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৬.৪৬ কোটি টাকা।

স্পন্সর-পরিচালকদের কোম্পানির শেয়ারে ৩০.৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে, যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৪.০৮ শতাংশ, এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৬৫.৪২ শতাংশ শেয়ার। সূত্র: ডিএসই

কোম্পানিটি ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি।

বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের প্রতি শেয়ার লেনদেন হয় ১৩৩.৫০ টাকায়।

স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ ১৯৯৩ সালে তার বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। এটি ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।