বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা আগামী বুধবার থেকে চৌকি বিছিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
রোববার রাজধানীর নগর ভবনে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ তথ্য জানান।
মেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা আগামীকাল সকাল থেকে পুরোদমে পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করবো। যাতে করে আগামী ১-২ দিনের মধ্যে সেখানে ব্যবসা পরিচালনার পরিবেশ সৃষ্টি হয়।’
তবে এরই মাঝে তালিকা প্রণয়ন শুরু হলেও এখনও পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন করা যায়নি। আমরা আশা করছি, আগামীকালের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তালিকার সম্পন্ন হবে বলেও জানান তিনি।
এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্তদেরকে পুনর্বাসনের জন্য সকল মহল থেকেই আমরা ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। এরই মাঝে ২ কোটি টাকা তহবিলে জমা হয়েছে। আমরাও এই তহবিলে অংশগ্রহণ করব। যাতে করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পুনর্বাসিত হতে পারে।
আগামী মঙ্গলবার আমাদের করপোরেশন সভা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, আগামী মঙ্গলবারে না হলেও বুধবার নাগাদ যেন তারা সেখানে চৌকি বিছিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারে। এজন্য পরিষ্কার করার পরে সেই জায়গাটা সমতল করা হবে। পুরো ব্যবস্থাটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপেরেশন করে দেবে। তারপর চৌকি বিছিয়ে তারা সেখানে ব্যবসা শুরু করতে পারবে।
এ সময় সমাজের সকল স্তরের মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমরা সকলের কাছে আবেদন করছি, মানবিক দিক বিবেচনা করে, এত সংখ্যক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জীবনযাপন বিবেচনা করে সকলেই যেন এগিয়ে আসে। এই তহবিলে যেন অংশগ্রহণ করে। এটা যেহেতু রমজান মাস, তাই মানবতার খাতিরে সকলেই যেন এগিয়ে আসেন।
প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের কথা জানিয়ে মেয়র বলেন, তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পর্যাপ্ত অনুদানের ব্যবস্থা করবেন। আমরা আশাবাদী, যেভাবে আমরা সাড়া পাচ্ছে তাতে অচিরেই, হয়তবা এই সপ্তাহের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ রূপ আমরা দিতে পারব। সকলে মিলে তহবিল গঠন করবে। এতে আমাদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও মার্কেট কমিটিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছে। টেম্পোরারি ব্যবস্থা হচ্ছে। তহবিল যেটা হচ্ছে, সবাই আশাবাদী যে এটা একটা বড় আকার ধারণ করবে।
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, মেয়রের সঙ্গে কথা বলে আজ আমরা খুবই আনন্দিত। এত দ্রুত সিদ্ধান্ত পাবো আমরা কিন্তু বুঝি নাই।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক প্রমুখ।