সৌদি আরব, চীন ও ভুটান বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। এসব দেশের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের এনার্জি, এগ্রোবেজড ইন্ডাস্ট্রি, ফুড প্রসেসিং ও অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে আরও বেশি বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
শনিবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলমান বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে যোগদানরত সৌদি আরব, চীন ও ভুটানের বাণিজ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলাদা মতবিনিময়ের পর বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবও বাংলাদেশে বন্ধু রাষ্ট্র। বাংলাদেশের এনার্জি সেক্টরে দেশটি বড়ধরনের বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া, অ্যাগ্রোবেজ ইন্ডাস্ট্রি ও ফুড সেক্টরে সৌদি আরব বিনিয়োগে আগ্রহী। ভুটানও বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী। দেশটি নৌপথ এবং স্থল বন্দরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে দ্রত বাণিজ্য বাড়াতে চায়।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ সব ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। অর্থনীতি বিগত যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী। সবকিছু জেনে শুনেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসছে।’
বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন খুবই লাভজনক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থানে একশটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। বেশ কয়েকটির কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। দেশীয় প্রতিষ্ঠানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এখানে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে বলেও জানান তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী প্রথমে বিজনেস সামিটে যোগদানকারী সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজেদ বিন আব্দুল্লাহ আলকাসাবি মতবিনিময় করেন। এ সময় সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে বড়ধরনের বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। এনার্জি খাতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশের এগ্রিকালচার, ফুড সেক্টরে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।’
পরে বাণিজ্যমন্ত্রী বিজনেস সামিটে যোগদানকারী চীন কাউন্সিল ফর দি প্রোমশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড জাং শাওগাং এর সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ চীনের চতুর্থবৃহৎ ব্যবসায়ীক অংশীদার। বাংলাদেশে চীনের অনেক বিনিয়োগ রয়েছে। চীন বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার। বাংলাদেশের এনার্জি, এগ্রোবেজ ইন্ডাস্ট্রি, ফুড প্রসেসিং ও অবকাঠামো খাতে আরও বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। চীনের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।’
এরপর বাণিজ্য মন্ত্রী ভুটানের শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী কার্মা দর্জি’র সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময় ভুটানের মন্ত্রী বলেন, ‘ভুটান বাংলাদেশের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে চায়ে। এজন্য উভয় দেশের নৌপথ সচল ও ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য বন্দরের সমস্যাগুলো দূর করতে হবে।’
এর আগে, বাণিজ্যমন্ত্রী এফবিসিসিআই এর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩ এর উদ্বেধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।