প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

বাড়ছে মুরগি-পেঁয়াজের দাম, ভোগান্তিতে ক্রেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৯ অক্টোবর ২০২১ ১২:১২:১৪ | আপডেট: ৩ years আগে
বাড়ছে মুরগি-পেঁয়াজের দাম, ভোগান্তিতে ক্রেতারা

গত সপ্তাহে মুরগি, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ক্রমবর্ধমান দাম আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে চাহিদা বৃদ্ধির বিপরীতে সরবরাহে ঘাটতি থাকায় সাধারণ মানুষের জন্য আরও ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি, মোরগ (সোনালি মুরগি) এবং পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।

সেপ্টেম্বরের শেষ দিন থেকে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের দায়ী করছেন বাজার পর্যবেক্ষক এবং ভোক্তারা। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ করে পণ্যের আমদানি কমে যাওয়াই দাম বৃদ্ধির প্রধান কারণ।

ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। গত সপ্তাহে এর দাম ছিল ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। মোরগ বা সোনালী মুরগির দাম ৩১৫-৩২০ টাকা কেজি ছিল, যা গত সপ্তাহে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ৩০০-৩১০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

মিরপুর-১ এর আল বারাকা চিকেন হাউসের বিক্রেতা রনি আহমেদ বলেন, “সম্প্রতি সকল হোটেল ও রেস্তোরাঁয় দিন দিন চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্রয়লার মুরগি ও মোরগের চাহিদা বাড়ছে।”

এই বিক্রেতা আরও বলেন, “অন্যদিকে মুরগির ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের জন্য সরবরাহ পর্যাপ্ত নয় এবং এজন্য প্রতি সপ্তাহে মুরগির দাম বাড়ানো হচ্ছে।”

কারওয়ান বাজারের একজন ক্রেতা খায়রুল ইসলাম বলেন, “বাজারে প্রায় প্রতিদিনই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে।”

তিনি আরও বলেন, “সবজি, ভোজ্য তেল এবং চিনির বর্তমান মূল্যও অনেকের পক্ষে সাশ্রয়ী নয়।”

খাইরুলের মতো অন্যান্য অনেক ক্রেতাই মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে স্থানীয় বাজার পর্যবেক্ষণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

শুক্রবার মিরপুর, কারওয়ান বাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে স্থানীয় পেঁয়াজ ৭৫-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৬৫ টাকায়।

গত সপ্তাহের শুরুতে এক কেজি দেশি পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকায় এবং ভারতীয় জাতের পেঁয়াজ ৪৫-৪৮ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়েছিল।

মিরপুর-১ এর পেঁয়াজ বিক্রেতা আব্দুর রহমান দাবি করেছেন, বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে বড় পূজার কারণে ভারতীয় পেঁয়াজের যথেষ্ট সরবরাহ না থাকায় পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় বাজারে সরবরাহ ও চাহিদার ব্যবধান বাড়ায় আগামী দিনে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়বে।

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির জন্য পাইকারি বিক্রেতাদের দায়ী করে অধিকাংশ খুচরা বিক্রেতারাই বলছেন, “আমরা যেহেতু পাইকারদের কাছ থেকে বেশি দামে পেঁয়াজ ক্রয় করি, এজন্য আমরাও বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য।”

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) মতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৩.৬২ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন করেছে বাংলাদেশ, যার অভ্যন্তরীণ চাহিদা ছিল প্রায় ২৪ লাখ টন।