প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

বাড়ছে সিগারেটের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৯ জুন ২০২২ ১৭:০১:৫৮ | আপডেট: ৩ years আগে
বাড়ছে সিগারেটের দাম

২০২২-২৩ অর্থবছরে সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুলসহ সকল প্রকার তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানির জন্য ৪৫ শতাংশ শুল্কের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত অর্থবছরে এ ধরণের কোম্পানিগুলোর ওপর ৩৭.৫ শতাংশ শুল্ক ছিল। এর ফলে বাড়তে পারে বিড়ি-সিগারেটের দাম। পাশাপাশি ধোঁয়াহীন তামাকজাত পণ্যের দাম বৃদ্ধিরও প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে- সিগারেটের নিম্নস্তরের দশ শলাকার দাম ৪০ টাকা ও তদুর্ধ্ব এবং সম্পূরক শুল্ক ৫৭ শতাংশ ধার্যের প্রস্তাব করছি।

এছাড়া মধ্যম স্তরের দশ শলাকার দাম ৬৫ টাকা ও তদুর্ধ্ব, উচ্চ স্তরের দশ শলাকার দাম ১১১ টাকা ও তদুর্ধ্ব, অতি-উচ্চ স্তরের দশ শলাকার দাম ১৪২ টাকা ও তদুর্ধ্ব এবং এই তিনটি স্তরের সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

আগের বছরগুলোর মতো যন্ত্রের সাহায্য ছাড়া তৈরি ফিল্টার বিযুক্ত বিড়ির পঁচিশ শলাকার দাম ১৮ টাকা, বারো শলাকার দাম ৯ টাকা ও আট শলাকার দাম ৬ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফিল্টার সংযুক্ত বিড়ির বিশ শলাকার দাম ১৯ টাকা ও দশ শলাকার দাম ১০ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৪০ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

গত বছরের মতো প্রতি দশ গ্রাম জর্দার দাম ৪০ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৫৫ শতাংশ এবং প্রতি দশ গ্রাম গুলের দাম ২০ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৫৫ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। এ সময় তিনি বেশ কিছু পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেন।

বাড়তে পারে যেসবের পণ্যের দাম-

আমদানিকৃত পনির ও দইয়ের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাবনা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। ফলে বিদেশি পনির ও দইয়ের দাম বাড়তে পারে।

সিগারেটের নিম্নস্তরের ১০ শলাকার দাম ৩৯ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে ও সম্পূরক শুল্ক ৫৭ শতাংশ ধার্যের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বাড়তে পারে।

আমদানিকরা তৈরি পোশাকে ৪৫ শতাংশ সস্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ফলে বিদেশি পোশাকের দাম বাড়বে।

এছাড়া, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল, অপরিশোধিত আলকতরা, বিদেশি পাখি, প্রিন্টিং প্লেট, ক্যাশ রেজিস্ট্রার ফ্যান মোটর, লাইটার, দুই স্ট্রোক ও ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিনের সিএনজি, কম্পিউটার প্রিন্টার ও টোনার, আমদানিকরা মোবাইল চার্জার, কার্বনডাই-অক্সাইড, আমদানি করা পেপার কাপ, প্লেট।

বিলাসবহুল গাড়ি, রিকন্ডিশন ও হাইব্রিড গাড়িতে ২০০০ সিসি থেকে ৪০০০ সিসিতে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এটি বর্তমান সরকারের ২৩তম এবং বাংলাদেশের ৫১তম ও বর্তমান অর্থমন্ত্রীর চতুর্থ বাজেট। এ বাজেট বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আকারের বাজে।