প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

বিকল্প ৫ উৎস থেকে গম আমদানির প্রচেষ্টা চলছে: টিপু মুনশি

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬ মে ২০২২ ১৯:৩৯:৩২ | আপডেট: ৩ years আগে
বিকল্প ৫ উৎস থেকে গম আমদানির প্রচেষ্টা চলছে: টিপু মুনশি

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভারত গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করার পর সরকার ইউক্রেনসহ পাঁচটি বিকল্প উৎস থেকে গম আমদানির চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের মধ্যে ভারত গম রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

সোমবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত এক সংলাপে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘তবে আশার কথা হলো প্রতিবেশী দেশের ক্ষেত্রে ভারত এটা বিবেচনা করবে। আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।’

মন্ত্রী বলেন, সরকার নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ নয়, স্থিতিশীল রাখতে চায়।

তিনি বলেন, ‘সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা উচিত না। আমরা ব্যবসায়ীবান্ধব। আমরা আন্তর্জাতিক বাজারের দাম অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করে দেই। সে অনুযায়ী বাজারে দামটা থাকলে বাজার স্থিতিশীল থাকবে। আমরা নিয়ন্ত্রণ করা নয়, বাজার স্থিতিশীল রাখতে চাই।

তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে অভ্যন্তরীণ বাজারও স্থিতিশীল থাকে।

ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডালের দাম নিয়ে সামান্য সমস্যা রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ভোজ্যতেলের ৯০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশে দাম বাড়ে।’

তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ খাদ্যপণ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। তাই সামনে কিছু সংকট থাকায় সবাইকে সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

টিপু মুনশি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশের এমন অবস্থা হতে পারে। কিন্তু সে রকম কোনো সম্ভাবনা নেই। প্রকৃতপক্ষে আমরা শ্রীলঙ্কাকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছি।’

পেঁয়াজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে পেঁয়াজের দাম একটু বেশি হলেও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে।

তিনি বলেন, কৃষকরা যাতে দাম পায় এবং ভোক্তারাও যাতে কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারে সেটি আমরা দেখছি।

ভোজ্যতেলের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, প্রচুর ব্যবসায়ীকে আমরা ধরছি। সেখানে অনেকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে এবং জেলেও পাঠানো হয়েছে। তবে এমন কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাই না যাতে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীরা জানে ঈদের পর দাম বাড়বে। তারা সেই সুযোগ নিয়েছে। আমাদের ভুল হয়েছে টানা দুই মাস তেলের দামটা নির্ধারণ করিনি। যদি করতাম তাহলে তারা সুযোগটা নিতে পারত না।

বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের উপস্থাপনায় সংলাপ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাস।