প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

বৃহস্পতিবার থেকে পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:১৩:৩৯ | আপডেট: ২ মাস আগে
বৃহস্পতিবার থেকে পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীতে জাটকা রক্ষা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এ জন্য বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে নদীতে ইলিশসহ সকল প্রকার মৎস আহরণ বন্ধ থাকবে। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা চলবে।

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৬ সাল থেকে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস পদ্মা-মেঘনা নদীতে জাটকা ইলিশের নিরাপদ বিচরণ নিশ্চিতে সকল প্রকার মাছ শিকার নিষিদ্ধ করে সরকার।

নিষেধাজ্ঞার এই সময় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা থেকে হাইমচর চর ভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার এলাকায় জাল ফেলা, মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

জানা গেছে, অধিকাংশ জেলেই সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে নৌকা ও জাল মেরামতের কাজ করে থাকেন। নিষেধাজ্ঞার দুই মাস সংসারের খরচ চালিয়ে কিস্তি পরিশোধ করা তাদের জন্য মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়ায়। তাই তাদের দাবি, অভিযানের সময়ের ঋণের কিস্তি বন্ধ রাখা হোক।

জেলেরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সরকারি খাদ্য সহায়তা অপ্রতুল। তার উপর ঋণের কিস্তির বোঝাও রয়েছে।

অপরদিকে, জেলা টাস্কফোর্স অভয়াশ্রম বাস্তবায়নে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। চাঁদপুরে নিবন্ধিত জেলে ৪৪ হাজার ৩৫ জন। অভয়াশ্রম বাস্তবায়ন ও জেলেদের জীবনমান উন্নয়নে বিকল্প আয়বর্ধক প্রকল্পের আওতায় সরকার পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন উপকরণ দিচ্ছে।

অভয়াশ্রম বাস্তবায়নে নিবন্ধিত জেলেদের দেওয়া হচ্ছে সরকারি খাদ্য সহায়তা। প্রতি জেলে পাচ্ছে চার কিস্তিতে ১৬০ কেজি চাল।

তবে শুধু চাল দিয়ে সংসার চালানো কষ্টের বলে দাবি জেলেদের। তাই খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা দাবি তাদের।

চাঁদপুর নৌ-অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘অভয়াশ্রম চলাকালে অসাধু জেলেরা যাতে কোনোভাবেই নদীতে নামতে না পারে, সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। এ ছাড়াও ভ্রাম্যমাণ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ব্যবস্থা করার কথাও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার দুই মাস জেলেদের ঋণের কিস্তি বন্ধ রাখার লক্ষ্যে সকল এনজিও সংস্থাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’ যদি কোনো সংস্থা এই দুই মাস জেলেদের কিস্তি গ্রহণ করে, তাহলে প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানান।