প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দুরবস্থার শিকার বাংলাদেশের ১৬০ মিলিয়ন মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৮ আগস্ট ২০২২ ১০:৪০:৪৩ | আপডেট: ২ years আগে
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দুরবস্থার শিকার বাংলাদেশের ১৬০ মিলিয়ন মানুষ

করোনা মহামারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি এবং খাদ্যসামগ্রীর চড়া দামের কারণে ভুগছে বাংলাদেশের ১৬০ মিলিয়ন মানুষ। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংকট নানা ধরনের দুরবস্থার মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এজন্য সেই সব দেশ দায়ী, যারা আদর্শ উন্নয়ন অর্থনীতির বিপরীতে অবিবেচনাপ্রসূত ব্যয় করেছে।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দুরবস্থার শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক নিবন্ধে এসব কথা বলা হয়েছে। ঢাকা থেকে বেঞ্জামিন পার্কিন এবং নয়াদিল্লি থেকে জন রিড যৌথভাবে এই নিবন্ধ লিখেছেন।

দীর্ঘ এই নিবন্ধে বলা হয়, সৃষ্ট বিদ্যুৎ সংকট ও আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঋণ পরিশোধের সক্ষমতাকে সন্দিহান করে তুলছে।

নিবন্ধে শ্রীলংকা, পাকিস্তান, নেপাল এবং মালদ্বীপের সংকটের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক ধাক্কা থেকে সুস্থ আছে, যার বড় কারণ এর সফল রপ্তানি খাত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো ও জলবায়ু পরিবর্তজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় সহায়তার জন্য আইএমএফের কাছে ঋণের আবেদন করেছেন। এ ফান্ড থেকে ৪.৫ বিলিয়নসহ বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ আরও ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে।

জ্বালানির দাম বৃদ্ধির ফলে দেশব্যাপী জনগণ প্রতিবাদ করেছে। বাংলাদেশ সরকার জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য স্কুল ও অফিস সময় কমিয়ে এনেছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সাশ্রয়ে বিলাস দ্রব্যের ওপর আমদানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সাথে ঘানা, ইথিওপিয়া থেকে চিলি পর্যন্ত বিভিন্ন উদীয়মান অর্থনীতির মিল রয়েছে, যেখানে ৮০’র দশকের পর এই প্রথম বৈদেশিক ঋণ সংকটে শুরু হয়েছে, যা সেখানে দীর্ঘদিনের সমস্যার কারণে পরিণত হয়েছে।

অনেক দক্ষিণ এশিয়ার দেশ জ্বালানি সম্পদ আমদানির উপর নির্ভরশীল, যেমন অপরিশোধিত তেল, কয়লা এবং খাদ্যসামগ্রী এবং ভোজ্যতেল । গত জুলাই মাসে বাংলাদেশের ডিজেল চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে। এসব দেশের মধ্যে কেউ কেউ চীনের বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ এর অধীন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দেশটির কাছে ঋণগ্রস্ত রয়েছে।