বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ‘চলতি সপ্তাহ থেকে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসা শুরু হবে। আমাদের লক্ষ্য হলো পবিত্র রমজান মাসের আগে যেন ভোক্তাদের বেশি দামে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে না হয়।’
শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রাসরুট উইম্যান অন্ট্রাপ্রেনারস বাংলাদেশ (এজিউব্লিউইবি) আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ তথ্য জানান। আবুধাবিতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযুষ গয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রতিমন্ত্রী।
বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ডব্লিউটিওতে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একটা মিটিং ছিল। সেখানে উনি (পীযুষ গয়াল) বসে চিঠি ইস্যু করার নির্দেশ দিয়েছেন। চিঠি ইস্যু হয়ে গেছে। আমাদের হাতে চিঠির কপি এসে গেছে। কাল আমরা চিঠি পেয়েছি।’
উল্লেখ্য, আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার ভরা মৌসুমে দেশে পেঁয়াজের দাম অনেক বেড়েছে। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, ১ মার্চ ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১২০ টাকায় পৌঁছেছে, যা গত বছরের একই তারিখের চেয়ে ৩৫ টাকা বেশি। তথ্যে বলা হয়েছে, দেশি পেঁয়াজের বর্তমান দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭১.৪২ শতাংশ বেশি।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর ভারত চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
এদিকে কাল থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৩ টাকায় বিক্রি হবে বলে জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘ভোজ্যতেলের মনিটরিং শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল থেকে সকল মিল গেটে টিমগুলো মনিটরিং-এ আছে। ট্যারিফ কমানোর পরে কত মাল তারা ইমপোর্ট করেছে এবং তাদেরকে বাফারস্টোক তৈরির জন্য যে সময় দেওয়া হয়ে তা কতটা কাজে লাগিয়েছে সে বিষয়ে ইতোমধ্যে তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি আগামীকাল থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৩ টাকায় বিক্রি হবে। আর প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৪৯ টাকায়।’