মোহাম্মদ নাহিয়ান
গত পাঁচ সপ্তাহ ধরে বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বেড়েই চলেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভোক্তারা। যদিও গত ৫ সেপ্টেম্বর ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।
শুক্রবার বেশ কয়েকটি বাজারে বোতলবিহীন সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৪০-১৪৫ টাকায়, পাম অয়েল ১২৫-১৩০ টাকায় এবং সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতল ৭৪০-৭৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।
কিন্তু ৫ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বোতলবিহীন সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ১২৯ টাকা, পাম অয়েল ১১৬ টাকা এবং লিটল সয়াবিন তেলের দাম ৭২৮ টাকা নির্ধারণ করে দেয়।
কারওয়ান বাজারে গত কয়েক সপ্তাহে বোতলবিহীন সয়াবিন তেলের দাম ১১-১৬ টাকা এবং পাঁচ লিটারের বোতলের দাম ১০ টাকা বেড়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চাহিদা বৃদ্ধির কারণে তারা ভোজ্য তেলের দাম বাড়িয়েছে, কিন্তু সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।
গুলশান বাজারে সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতল ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মিরপুর ১-এর হক ভ্যারাইটিস স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো নুরুল হক বলেন, চলতি সপ্তাহে ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বোতলবিহীন তেলের চেয়ে বেশি বেড়েছে।
সুমন আহমেদ নামের এক ভোক্তা জানান, বাজারে এখন পণ্যের দাম অনেক বেশি।
তিনি আরও বলেন, ভোজ্য তেলের দাম এতই বেড়ে গেছে যে এটি আর আমাদের পক্ষে সাশ্রয়ী নয়। আমরা সরকারকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই।
এছাড়াও সবজিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়ে গিয়েছে।
পুঁইশাক, বেগুন, ভুঁড়ি, তেজপাতা, সাপকুচি, এবং অন্যান্য সবজি প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৭০ টাকার উপরে বিক্রি হয়।
এখন বাজারে করলা প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকায় এবং লাউ প্রতি পিস ৪৫-৫৫ টাকায় এবং বেগুন ৫৫-৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ব্রয়লার ডিম প্রতি ডজন ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।