পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌরুটে মেঘনা সেতু নির্মিত হলে দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। সেতুটি হলে চাঁদপুর ও শরীয়তপুরই শুধু লাভবান হবে না, সারাদেশে অর্থনীতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিবর্তনে বিপ্লব সাধিত হবে।
শুক্রবার দুপুরে শরীয়তপুরের সখিপুরের আলুর বাজার সংলগ্ন মেঘনা নদী পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, মেঘনা সেতুর ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ২২ জেলা, সিলেটের চার জেলা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এছাড়া তিনটি সমুদ্রবন্দরের মধ্যে সড়কপথে পণ্য পরিবহনে সময় কমিয়ে আনাও সম্ভব হবে।
এনামুল হক শামীম জানান, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মেঘনা সেতু নির্মিত হবে। তাই সরকার ২৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে স্পেনের বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান দিয়ে মেঘনসেতুর প্রাথমিক সমীক্ষার কাজ শুরু করেছে।
এর আগে ২০১৯ সালের ১০ মার্চ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে মেঘনা সেতুর জন্য প্রস্তাব দেন এনামুল হক শামীম। মেঘনা সেতু নির্মাণে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা এবং মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নে ছয়টি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
মেঘনা নদীর যে ৯টি পয়েন্ট সমীক্ষা হচ্ছে তার চারটি পয়েন্টের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে বাকি পাঁচটি পয়েন্টর কাজ সমাপ্ত হবে।