প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের অগ্রাধিকারমূলক বাজার প্রবেশাধিকার প্রদানের জন্য মার্কিন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি উৎপাদন ও প্রযুক্তি স্থানান্তরে বর্ধিত মার্কিন বিনিয়োগ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (ডিএফসি) তহবিল চেয়েছেন।
শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, এফ রহমান দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবসা-বাণিজ্য ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ওপর জোর দেন।
তিনি মার্কিন বিনিয়োগকারীদের জন্য ডেডিকেটেড অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এফ রহমান বাংলাদেশে হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগ করতে মার্কিন আইটি কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের সুসংহত নীতির ধারাবাহিকতাই গত ১৩ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির চাবিকাঠি।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিতীয় হাই-লেভেল ইকোনমিক কনসালটেশনে তারা এ বিষয়ে আলোচনা করেন।
সালমান এফ রহমান এবং মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ফর ইকোনমিক গ্রোথ, এনার্জি এন্ড দ্য এনভায়রনমেন্ট-এর আন্ডার সেক্রেটারি জোস ডব্লিউ ফার্নান্দেজ বৈঠকে সহ-সভাপতিত্ব করেন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস ছাড়াও শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন,বেগম শামসুন নাহার, এম শহীদুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতসহ সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার উপ-সহকারী সচিব রাষ্ট্রদূত কেলি কেইডারলিং, সহকারী মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্রিস্টোফার উইলসন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি, শ্রম দপ্তর থিয়া লি এবং প্রাসঙ্গিক মার্কিন দপ্তরের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মার্কিন পক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি জোসে ডব্লিউ ফার্নান্দেজ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং কোভিড-১৯ টিকাদানে অসাধারণ সাফল্যের প্রশংসা করেন।