প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

রাজধানীর অভিজাত এলাকার চেয়ে বস্তির ভাড়া বেশি

২৫ জুলাই ২০২১ ১৭:০৫:২৬ | আপডেট: ৪ years আগে
রাজধানীর অভিজাত এলাকার চেয়ে বস্তির ভাড়া বেশি

রাশেদ আহমেদ

বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহর ঢাকা। যেখানে বস্তিতে বসবাসকারীরা অভিজাত এলাকার বাসিন্দাদের চেয়ে বেশি বাসা ভাড়া দিয়ে থাকেন। সম্প্রতি বিজনেস পোস্টের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এ তথ্য।

বস্তিতে বসবাসকারী এসব মানুষ ভীষণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করেন। এমনকি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেখানে নেই তাদের জীবন-যাপনের জন্য মৌলিক সুবিধাদি।

রাজধানীর সবচেয়ে বড় বস্তি কড়াইলের বাসিন্দা রিকশাচালক মো: মাসুদ রানা। কড়াইলের ওই বস্তিতে একসাথে ৫০ হাজার লোক বাস করেন। ৮০ বর্গফুটের ছোট্ট একটি রুমে তিনি তার পরিবারের আরও দুই সদস্যকে নিয়ে বাস করেন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, ছোট্ট এই রুমটির জন্য তাকে প্রতিমাসে গুনতে হয় ৩ হাজার টাকা। 

তবে এখানেই শেষ নয়। বছর না ঘুরতেই ঘরের মালিক বাড়ান ভাড়া ।

১৫ বছর ধরে রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তিতে বাস করেন শাহাদাত হোসেন টিপু। মায়ের হাত ধরে নোয়াখালী থেকে ঢাকায় আসার পর থেকে এখানেই তার বাস।

তিনি জানান, ১০০ বর্গফুটের এই ঘরের ভাড়া বাবদ তাকে প্রতি মাসে ৩ হাজার ২০০ টাকা পরিশোধ করতে হয়। ছোট্ট ঘরটিতে তিনি তার পরিবারের পাঁচ সদস্যকে নিয়ে বাস করেন।

গার্মেন্ট শ্রমিক আলেয়া বেগম। মিরপুরের বাওনিয়াবাদ বস্তির বাসিন্দা। স্বামী ও ২ সন্তান নিয়ে থাকেন সেখানে। ১২০ বর্গফুটের একটি রুমের জন্য প্রতি মাসে তাকে গুনতে হয় ৩ হাজার ৫০০ টাকা।

রফিকুল ইসলাম। ভোলার চর রমেশের বাসিন্দা। ৪০ বছর আগে নদী ভাঙনের শিকার হয়ে রাজধানীতে পাড়ি জমান। বর্তমানে বাস করছেন আগারগাঁওয়ের বস্তিতে। পরিবারের ৫ জন সদস্য নিয়ে ৮ থেকে ১০ ফিটের ছোট্ট একটি রুমে বাস করেন তিনি।

রফিকুল জানান, সরকারি জমির উপর নির্মিত ছোট্ট এই ঘরটির জন্যও তিনি প্রতিমাসে ৩ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। এছাড়াও ইউটিলিটি চার্জ বাবদ বাড়ির মালিককে আরও ১ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। তবে বাড়ির মালিকের নাম প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানান রফিকুল।

২০১৯ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির আরবান ল্যাবের একটি সমীক্ষায় জানা গেছে, বস্তিবাসীরা প্রতি বর্গফুটের জন্য মাসে ৩৬ থেকে ৪২ টাকা ভাড়া পরিশোধ করে। যেখানে রাজধানীর ধানমন্ডি ও বনানীর মতো অভিজাত এলাকার বাসিন্দারা প্রত্যেক বর্গফুটের জন্য পরিশোধ করে থাকেন ২৮ থেকে ৩০ টাকা। 

বাংলাদেশ পরিকল্পনা ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আদিল মোহাম্মদ খান জানান, সাধারণত রাজধানীর যেকোনো বস্তিতে ১০০ বর্গফুটের একটি রুমের ভাড়া ৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতি বর্গফুটের জন্য ৪০ টাকা ভাড়া পরিশোধ করেন সেখানে বসবাসকারীরা। অপরদিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ও মিরপুরের বাসিন্দারা প্রতি বর্গফুটের জন্য পরিশোধ করেন ২৫ টাকা থেকে ৩৫ টাকা। 

আরবান ল্যাব স্টাডির নেতৃত্বদানকারী স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন: পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মতো সরকারি সেবা পাওয়ার জন্য দরিদ্ররা অনেক বেশি টাকা পরিশোধ করে। কারণ বেশিরভাগ বস্তিগুলো সরকারি জমির উপর অবৈধভাবে নির্মিত। কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে অবৈধভাবে তারা এই মৌলিক সুবিধাগুলো পেয়ে থাকে।

বেশিরভাগ নিম্ন আয়ের মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার। ভাগ্য অন্বেষণে ও কাজের আশায় তারা গ্রাম থেকে শহরে পাড়ি জমায়। এর ফলে শহরাঞ্চলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়। 

২০১৯ সালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম সংসদে বলেছিলেন, ঢাকায় বসবাসরত বস্তিবাসীর সংখ্যা ৬ লাখ ৪৫ হাজার। যারা রাজধানীতে ৩ হাজার ৩৯৪টি বস্তিতে বসবাস করে।

কিন্তু এনজিওগুলো এই সংখ্যাকে অস্বীকার করে বলছে বস্তিবাসীদের এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান মুসলেহ উদ্দিন হাসান বলেন, রাজউক এবং ন্যাশনাল হাউজিং অথরিটির মতো সরকারের বিভিন্ন সংস্থাগুলো বিভিন্ন সময়ে দরিদ্রদের আবাসনের জন্য নানা ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে থাকে। কিন্তু দুর্নীতি ও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে তাদের নেয়া বেশিরভাগ পরিকল্পনার অলোর মুখ দেখে না। 

অপরদিকে ন্যাশনাল হাউজিং অথরিটির সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ জোর দিয়ে বলেন; সরকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সাশ্রয়ী মূল্যে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে।

সরকার বর্তমানে দরিদ্রদের জন্য ভাড়ার ভিত্তিতে কমমূল্যে আবাসন তৈরীর চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, মিরপুরে ৫৩৩ টি ফ্ল্যাটের একটি প্রকল্প নির্মাণাধীন রয়েছে এবং আরও কিছু প্রকল্প হাতে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ভাড়ার বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট কাঠামো দাঁড় করানোর চেষ্টা করছি। 

দরিদ্র্রদের আবাসন নিশ্চিত করতে কিছু বেসরকারি সংস্থা বেশ কয়েকটি আবাসন প্রকল্প চালু করেছে, যেগুলো ইতোমধ্যে দরিদ্রদের আবাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি ব্যবসায়িক মডেলের সফল উদাহরণ তৈরি করেছে। 

বিশ্বের বৃহত্তম অলাভজনক এনজিও সংস্থা ব্র্যাক ঢাকায় এবং অন্যান্য শহরাঞ্চলের বস্তিতে বসবাসরত দরিদ্র মানুষের জীবন ও জীবিকা উন্নয়নে কাজ করছে।

ব্র্যাকের নগর উন্নয়ন কর্মসূচির সমন্বয়ক মো. ওয়াশিম আক্তার জানান, খুলনা, সাতক্ষীরা, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর ও রংপুরসহ ১২টি শহরের ৫০০ পরিবারকে উন্নত আবাসন দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৮ সাল থেকে কাজ করছেন তারা।

তিনি জানান, সেখানে বসবাসকারীরা আবাসনের জন্য সমিতি গঠন করে, নিজস্ব বাড়ি তৈরি করে এবং নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিচ্ছে। ব্র্যাক তাদের এই সক্ষমতা তৈরি করতে সহায়তা করেছে এবং কিছু পরিমাণ আর্থিক সহায়তাও দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটি এখনও চালু রয়েছে এবং শীঘ্রই ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।

এদিকে এনজিওগুলোর মধ্যে আরবান প্রথম এনজিও, যারা ২০১২ সালে মিরপুরে স্বল্প আয়ের ৪২টি পরিবারকে ফ্ল্যাট প্রদান করে।

আরবান এর প্র্রকল্প সমন্বয়কারী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, রামপুরায় ৮৫টি দরিদ্র পরিবারের জন্য আরেকটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এছাড়াও বসিলায় আরেকটি প্রকল্পের বিষয়ে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

সরকারের সহযোগিতায় ও কমিউনিটি হাউজিং ডেভলপমেন্ট ফান্ডের আওতায় ইউএনডিপি ২০১০ সালে গোপালগঞ্জ পৌরসভায় ৩৪৬টি অ্যাপার্টমেন্ট ইউনিট তৈরি করে। বাড়ির মূল্য পরিশোধ করার জন্য ১০ থেকে ১২ শতাংশ সুদে ৫ থেকে ৭ বছরের জন্য সময় নির্ধারণ করে দেয় তারা।

হাবিব অভিযোগ করেন, কয়েক বছর ধরে সরকারি সংস্থাগুলো শহরের দরিদ্রদের আবাসন সমস্যার দিকে মনোযোগ দেয়নি, যা এই সমস্যাটিকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

তিনি বলেন, ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে ফ্ল্যাট তৈরী করে দেয়া অতোটা সহজ নয়। সে কারণে তিনি পরামর্শ দেন; সরকারের উচিত দরিদ্র্রদের জন্য ভাড়ার ভিত্তিতে ৫০০ থেকে এক হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট তৈরি করে দেয়ার।

তিনি বলেন, দরিদ্রদের আবাসন সমস্যা সমাধানের জন্য এক অঙ্কের গৃহঋণ এবং একটি নীতিমালা প্রয়োজন।

অধ্যাপক আদিল বলেন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে শহরগুলোতে বড় আবাসনের সুযোগ তৈরি হতে পারে। সরকার কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারলে এটি জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে পারবে।

নগর পরিকল্পনাবিদরা বলেন, কমিউনিটি আবাসনগুলো বহু দেশে আবাসন সমস্যার সমাধান করেছে। তবে বাংলাদেশে এখনো সেটি সম্ভব হয়নি।

কমিউনিটি হাউজিংয়ের আওতায় যাদের থাকার জায়গা প্র্রয়োজন তাদেরকে সাশ্রয়ী মূল্যে বাড়ি ভাড়া দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়িগুলো কারো কাছে বিক্রি করা হয় না।

২০১৯ সালে বিশ্বব্যাংক অনুমান করেছিল, ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে কমপক্ষে ৮.৫ মিলিয়ন বাড়ি তৈরি করা দরকার।

সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, আশ্রয় বা আবাসন একজন নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। এদিকে সরকারের সপ্তম পাঁচ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা, জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং জাতিসংঘের অন্যান্য ঘোষণাগুলো অনুযায়ী, দেশের সব নাগরিককে সাশ্রয়ী মূল্যে আবাসন নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র বাধ্য।

বিগত বছরগুলোতে ধনী ও মধ্যবিত্ত লোকদের জন্য বেশ কয়েকটি আবাসন প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার।

১৯৯৮ সালে মিরপুর-১৪ তে ভাসানটেক পুনর্বাসন প্রকল্পটিতে সরকার ৩৪১ কোটি টাকা ব্যয় করেছিল। সরকার সেখানে ফ্ল্যাটের দাম নির্ধারণ করে দেয়, যা ১০ বছরের মধ্যে মাসিক কিস্তিতে পরিশোধের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

অধিকার আন্দোলনকারীরা জানায়, প্রকল্পটি অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত।

গত বছর আইন ও শালিশ কেন্দ্র্র একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছিল, ৮৪৯টি ফ্ল্যাটের মধ্যে কেবল ২১৮টি ইউনিট বস্তিবাসীকে হস্তান্তর করা হয়েছিল। প্রকল্পটির মালিক মডেল নির্ধারণ করেছে ডাউন পেমেন্ট ৬৫ হাজার টাকা এবং মাসিক ভাড়া দশ বছরের জন্য এক হাজার ১২৫ টাকা। একটি কক্ষ, একটি রান্নাঘর ও একটি টয়লেটের সমন্বয়ে ফ্ল্যাটটির মূল্য নিধারণ করা হয় এক লাখ ৯০ হাজার টাকা।

রাজউকের কর্মকর্তরা জানান, আবাসন প্রকল্পগুলো দরিদ্রদের আবাসন অধিকার সংরক্ষণ করছে।

তারা দাবি করেন পূর্র্বাচল প্রকল্পের ২০ হাজার অ্যাপার্টমেন্টের ১.২ শতাংশ, উত্তরা  অ্যাপার্টমেন্টের ৪.৩ শতাংশ এবং ঝিলমিল প্রকল্পের ১০ হাজার অ্যাপার্টমেন্টের ৭.৫ শতাংশ দরিদ্র্রদের জন্য সংরক্ষিত।

বিষয়টিকে প্রতারণা উল্লেখ করে হাউজিং অধিকার প্রচারণকারী হাসান জানান; কোন দরিদ্র জনগণকে এ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এটি দরিদ্র্র জনগণের সাথে সরকাারি সংস্থার স্পষ্ট প্রতারণা।          

কর্তৃপক্ষ জানায়, মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে গ্রামগুলোকে কেন্দ্র্র করে দেশের সর্ববৃহৎ আবাসন প্রকল্প গৃহীত হয়েছিল। সরকার প্রথম পর্যায়ে ৬৬ হাজার ১৮৯ পরিবারকে ঘর বরাদ্দ দেয়। আরও এক লাখ এ মাসে হস্তান্তর করা হবে। 

বস্তিবাসীরা ন্যূনতম সেবা ছাড়াই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করে। বস্তির এই বেশিরভাগ খুপড়ি ঘর জলাশয়ে এবং সরকারি জমিতে নির্মাণ করা হয়।

ঢাকার বস্তিবাসীরা বিজনেস পোস্টকে জানান, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাসের জন্য প্রায়ই তারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন।

সাততলা বস্তির বাসিন্দা টিপু জানান, 'আমরা দিন আনি দিন খাই। আমরা অসুস্থ হলে ডাক্তার দেখাতে পারি না। অধিকাংশ অসুস্থতার জন্য চিকিৎসকরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও অপুষ্টিকে দায়ী করেন।'

এছাড়া নিরাপত্তারও ঘাটতি রয়েছে বস্তিগুলোতে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জনান, গত ৫ বছরে ঢাকার বস্তিগুলোতে ২০০টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বস্তিতে একটি বড় সমস্যা হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এছাড়া বস্তির অনেক পরিবার মিলে একটি রান্নাঘর ও শৌচাগার ব্যবহার করে।

৩০ বছর আগে পায়রা নদীর গর্ভে বাড়ি ও কৃষি জমি বিলীন হয়ে যাওয়ায় বরগুনার পুড়াকাটা গুড়ির চর গ্রাম থেকে কড়াইল বস্তিতে  আসেন ৬০ বছর বয়সী সেতারা বেগম।

তার মতো ভাগ্যবিড়ম্বিত আরও অনেকে বসবাসের জন্য অস্বাস্থ্যকর বস্তি বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন।

সেতারা বেগম বলেন, বস্তিতে জীবনযাপন করা খুবই কঠিন। এখানে দুর্গন্ধ এবং পোকামাকড়ের জন্য খুব কষ্ট হয়।