রাজধানীর বুকে গ্রামীণ আবহের হাট, ভাবতে অবাক লাগলেও সপ্তাহে একদিন দিব্বি বসছে প্রায় ২০০ বছরের পুরনো বাণিজ্য কেন্দ্র। ঐতিহ্যবাহী এ হাটের নাম ‘মেরাদিয়া হাট’।
প্রতি বুধবার রাজধানীর বনশ্রীতে বসে এই হাট। যেখানে ভোর থেকেই ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্রেতারা নৌকা কিংবা বিভিন্ন বাহনে করে নানান জিনিসপত্র নিয়ে রামপুরা খাল পাড়ে অবস্থিত এ হাটে জড়ো হন।
নগরবাসীর কাছে এ হাট খুব জনপ্রিয়। কারণ, দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে এ হাটে বেচাকেনা করতে। পাওয়া যায় টাটকা শাক-সবজি থেকে শুরু করে ভেজালমুক্ত নানা খাদ্যপণ্য।
চাকচিক্যের এই রাজধানীতে এ যেন একটুকরো গ্রাম। শত শত দোকানী তাদের পণ্য-সামগ্রী নিয়ে বসেন ছোট ছোট অস্থায়ী দোকানে, বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জড়ো হন হাজার হাজার ক্রেতা।
ক্রেতা বলছেন, স্বল্পদামে এখানে মেলে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্য। যা এ হাটের ঐতিহ্য।
এ হাটের অন্যতম আকর্ষণ বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র। এ ছাড়াও এখানে মিলবে দা-বটি, চাকুসহ নানা ধরনের জিনিসপত্র।
রাস্তার পাশে খালি জায়গায় হাঁস-মুরগী নিয়ে বসেন বিক্রেতারা। একপাশে ছাগলের হাট, এখানে মেলে বিভিন্ন প্রজাতির তাজা মাছ।
হাটের বড় একটি অংশজুড়েই বিক্রি হয় কাপড়-চোপড়।
লোকমুখে দীর্ঘ দিনের প্রচলন ছিল- ‘মেরাদিয়া হাটে সুঁই থেকে শুরু করে মেলে হাতিও’
ঐতিহ্যবাহী এ হাটের প্রতিষ্ঠাকাল নিয়ে নানা মত থাকলেও অধিকাংশই মনে করেন হাটটির বয়স প্রায় ২০০ বছর।