প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

রিজার্ভ দিয়ে এখনও ৫ মাসের খাদ্য আমদানি সম্ভব: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৭ নভেম্বর ২০২২ ০৯:৪৯:০০ | আপডেট: ২ years আগে
রিজার্ভ দিয়ে এখনও ৫ মাসের খাদ্য আমদানি সম্ভব: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের এখনও পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে, যা পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য যথেষ্ট।

তিনি বলেন, ‘২০২২ সালের ৩ নভেম্বর পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তারপরও আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিয়ে পাঁচ মাসের জন্য পণ্য আমদানি করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক মানদন্ডে যদি ৩ মাসের আমদানী পরিমান রিজার্ভ থাকে তাহলে সেটাই যথেষ্ট।’

রোববার একাদশ জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশনে সমাপনী ভাষণ দেয়ার সময় সংসদ নেত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সবাই এখন রিজার্ভের কথা বলে এবং সবাই এটা নিয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছে। ১৯৯৬ সালে রিজার্ভ ছিল মাত্র ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, কিন্তু তার প্রথম সরকার ২০০১ সালের মধ্যে এটি প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় এসে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি ক্ষমতায় এসে ৫ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পায়- যা ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি তা ১৭ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন, ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি ৩২ দশমিক ০৯ বিলিয়ন, ২০২০ সালের ৩০ জুন ৩৬ দশমিক ০৪ বিলিয়ন এবং ২০২১ সালের ৩০ জুন ৪৬ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর সময় আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য ব্যয় প্রায় বন্ধ থাকায় তা প্রায় ৪৮ বিলিয়নে উঠে গিয়েছিল।

পরবর্তী আমদানী বৃদ্ধি এবং সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানির ফলে রিজার্ভ কিছুটা কমে বর্তমান ৩ নভেম্বর ৩৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে এসে দঁড়িয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যখন কোভিড বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়, তখন পণ্য আমদানি স্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। তাই, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পেয়েছে।

তবে তিনি বিলাসবহুল পণ্যের আমদানি হ্রাস এবং কম প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে উচ্চ কর আরোপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

এছাড়া শেখ হাসিনা তার ভাষণে খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুদ নিশ্চিত করতে, ডলার সংকট নিরসনে, আমদানি ব্যয় কমাতে এবং ওএমএসসহ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সম্প্রসারণে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ওপর আলোকপাত করেন।

তিনি বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সম্প্রসারণ, রপ্তানি বৃদ্ধি, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব, সরকারের ঋণের পরিমাণ এবং বৈদেশিক ঋণের কথাও তুলে ধরেন।

পরবর্তীতে ৬টি অধিবেশন স্থায়ী সংসদের ২০তম অধিবেশন স্থগিত করা হয়।

গত ৩০ অক্টোবর শুরু হওয়া অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির স্থগিতাদেশ পাঠ করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।