বাংলাদেশের উন্নয়নে একসাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, চীনের অর্থায়নে পদ্মা সেতুর পাশাপাশি পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প হচ্ছে। বড় বড় স্থাপনা নির্মাণের চীনের বিশাল অভিজ্ঞতা আছে।
বুধবার বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন রেল ভবনে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এর সাথে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় চীনা রাষ্ট্রদূত পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন।
এ সময় রেলপথ মন্ত্রী বলেন, চীন আমাদের অনেক বড় উন্নয়ন অংশীদার। চীনের অর্থায়নে বাংলাদেশ রেলওয়েতে এখন পদ্মা সেতু রেল সংযোগসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চলমান আছে।
তিনি বলেন, একটি দেশের উন্নয়নের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগব্যবস্থা প্রয়োজন। বর্তমানে ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্যই রেলের উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে।
মন্ত্রী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থা ব্রডগেজ এবং মিটার গেজ দ্বারা বিভক্ত। আমরা পুরোটাই ব্রডগেজে রূপান্তর করার চিন্তা করছি এবং সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া প্রতিটি জেলায় রেল সংযোগ স্থাপনের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সিঙ্গেল লাইনকে আমরা ডুয়েলগেজ করছি।
চীন আমাদের অনেক প্রকল্পে সাহায্য করছে এবং ভবিষ্যতে এ সাহায্য অব্যাহত থাকবে বলে মন্ত্রী এ সময় আশা প্রকাশ করেন।
চীনের রাষ্ট্রদূত এ সময় বলেন, চীনের অর্থায়নে পদ্মা সেতুর পাশাপাশি পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প হচ্ছে। বড় বড় স্থাপনা নির্মাণের চীনের বিশাল অভিজ্ঞতা আছে। আমরা বাংলাদেশের সাথে উন্নয়নে একসাথে কাজ করতে আগ্রহী।
চীনের অর্থায়নে অপেক্ষমান নির্মাণাধীন আখাউড়া-সিলেট এবং জয়দেবপুর-জামালপুর ডাবল লাইন নির্মাণের লক্ষ্যে নেগোসিয়েশন দ্রুত শেষ করার লক্ষে তাগাদা দেন তিনি।
এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম হাই স্পিড লাইন নির্মাণ বিষয়ে তাদের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে চলমান ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ কাজ চীনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যেন সম্পন্ন করে সেই লক্ষ্যে রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানানো হয়, কারণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উক্ত কাজ করতে আগ্রহী নয়।
আলোচনা সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।