প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

লিফট ও এস্কেলেটর আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৪ জুন ২০২৩ ২১:৫৯:০২ | আপডেট: ২ years আগে
লিফট ও এস্কেলেটর আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি

আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে লিফট ও এস্কেলেটর আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ এলিভেটর এস্কেলেটরস এন্ড লিফট ইম্পোর্টার্স এসোসিয়েশন (বেলিয়া)।

বুধবার রাজধানীর বনানীর একটি ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় বেলিয়া।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দেন সংগঠনের সভাপতি এমদাদ উর রহমান। এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আলম উজ্জ্বল উপস্থিত ছিলেন। এস্কেলেটরকে অত্যাবশ্যক ক্যাপিটাল মেশিনারি ক্যাটাগরিতে রেখে আগের ১১ শতাংশ করহার বহাল রাখার দাবি জানানো হয়।

বাজেট প্রস্তাবে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ক্যাটাগরি থেকে অবমুক্ত রেখেই বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান মোট শুল্ক ১৫ শতাংশ হতে বাড়িয়ে ২৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া এস্কেলেটরকে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ক্যাটাগরি থেকে অবমুক্ত করে আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান শুল্ক ১১ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ৪৩ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে এমদাদ উর রহমান বলেন, ‘২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারের বিভিন্ন অগ্রাধিকার মূলক প্রকল্পের লিফট এবং এস্কেলেটরের বর্তমানে চলমান কার্যাদেশের মূল্য প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা। একইভাবে বেসরকারি খাতে যা ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকা। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিভিন্ন ব্যাংকে ডলার ও ইউরোর মুদ্রা বিনিময় মূল্যের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা কার্যকর না থাকায় মুদ্রা দু’টির অনিয়ন্ত্রিত মূল্য এবং ১০০ শতাংশ মার্জিনে এলসি খুলতে সরবরাহ-আমদানিকারকদের অবস্থা নাভিশ্বাস। তার উপর বাজেটে প্রস্তাবিত অতিরিক্ত শুষ্ক যেন, মরার উপর খাঁড়ার ঘা। তাই প্রস্তাবিত বাজেটে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার করে পূর্বের বাজেটের নিয়মানুযায়ী শুল্ক ও কর বহাল রাখার দাবি করছি।’

২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সম্পূর্ণ তৈরি লিফট আমদানি শুল্ক আবারও ১০ শতাংশ বাড়ানোর কারণে সম্পূর্ণ প্রস্তুত আমদানি লিফট ও দেশীয় শিল্পে উৎপাদিত লিফটের দামের পার্থক্য হবে ৩৭ শতাংশ, যা অসম। তাই আমদানি নির্ভরতা থেকে বের হয়ে স্থানীয় শিল্প গড়ে তোলতে একটি নীতিমালা করা দাবি জানানো হয় ওই সংবাদ সম্মেলনে।

এ সময় শফিউল আলম জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারের বিভিন্ন অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পের লিফট ও এস্কেলেটরের বর্তমানে চলমান হাতে নেওয়া কার্যাদেশের মূল্য প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা। একইভাবে বেসরকারি খাতে যা ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। বিভিন্ন ব্যাংকে ডলার/ইউরোর মুদ্রা বিনিময় মূল্যের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা কার্যকরী না থাকায় ডলার/ইউরোর অনিয়ন্ত্রিত মূল্য এবং ১০০ শতাংশ মার্জিনে এলসি খুলতে এমনিতেই সরবরাহকারী/আমদানিকারকদের নাভিশ্বাস। তার ওপর বাজেটে প্রস্তাবিত অতিরিক্ত শুল্ক যেন ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’। এ শিল্পের সুরক্ষার্থে গত বছরের কার্যাদেশের ওপর পূর্বের বাজেটের নিয়মানুযায়ী শুল্ক/কর বহাল রাখতে সরকারের সুবিবেচনার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।