প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

শতক ছাড়ালো চিনি, মাঠে ভোক্তা অধিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
২২ অক্টোবর ২০২২ ১৯:১৬:২০ | আপডেট: ২ years আগে
শতক ছাড়ালো চিনি, মাঠে ভোক্তা অধিকার

চলতি সপ্তাহে কয়েকদিনের ব্যবধানে চিনির বাজারে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। হঠাৎ করেই চিনির কেজি প্রতি দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। চিনির এই অস্থিতিশীল বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিংয়ের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। সারা দেশে চিনির উৎপাদন, পাইকারি ও খুচরা বাজারে তাদের মনিটরিং চলবে।

শনিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের মেঘনা, মোনায়েম এবং রুপগঞ্জের সিটি গ্রুপ পরিদর্শন করেছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর ঢাকার একটি দল। প্রথমে তারা নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা গ্রুপে যান।

এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা কার্যালয়ের পরিচালক হাসানুজ্জামান বুলবুল জানান, ‘বাজারে চিনি সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছে চিনির সরবরাহ কম। এ জন্য দেশে চিনির উৎপাদন, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মনিটরিং শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে আজ ঢাকার আসেপাশের রিফাইনারিগুলো পরিদর্শন করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সোনারগাঁওয়ের মেঘনা গ্রুপের ফ্রেশ ব্রান্ডের চিনির কারখানা পরিদর্শন করেছি। সেখানে এসে দেখা গেছে তাদের প্রতিদিন চিনি উৎপাদনে সক্ষমতা হচ্ছে প্রায় ৩ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু সেখানে তারা উৎপাদন করছে মাত্র ১ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন। যা তাদের উৎপাদন সক্ষমতার প্রায় অর্ধেক। এই উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটি গ্যাস সংকটকে দায়ী করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মোনায়েম গ্রুপ নামে আরেক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে জানতে পারি তারা সরাসরি বাজারে চিনি সরবরাহ করে না। তারা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক চিনি সরবরাহ করে থাকে। এ ছাড়া তারা তাদের নিজেদের কোকাকোলার প্লান্টে সরবরাহ করে। মূলত তাদের চিনি বাজারে যায় না।’

এ দিকে মেঘনা গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার এম.এ বকর জানান, ‘আমাদের এখানে যা চিনি উৎপাদন হচ্ছে তা বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। এখানে কোনো ঘাটতি নাই। উৎপাদন আমাদের কমে গেছে তার একমাত্র কারণ হলো গ্যাস সংকট। এছাড়া অন্য কিছু নয়। তবে আমাদের উৎপাদন চালু আছে এবং সরবরাহও হচ্ছে।’

চিনির বাড়তি দামের বিষয়ে জানতে চাইলে মেঘনা গ্রুপের এই কর্মকর্তা জানান, ‘সরকার খুচরা বাজারে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। সেই দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হলে ভোক্তা অধিকার আছে তারা দেখবে বিষয়টা। কিন্তু আমাদের এখানে দাম বাড়ানো হয় নাই। বাজারে চিনির দাম বাড়লে সবসময়ই রিফাইনারি প্রতিষ্ঠানকে অভিযুক্ত করা হয়।’