প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

শিল্প সম্পর্ক উন্নয়নে মালিক-শ্রমিকের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ অপরিহার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ মার্চ ২০২৩ ২০:২৪:১৯ | আপডেট: ১ year আগে
শিল্প সম্পর্ক উন্নয়নে মালিক-শ্রমিকের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ অপরিহার্য

মঙ্গলবার ঢাকার একটি হোটেলে দ্যা এশিয়া ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন (বিএলএফ) এর উদ্যোগে বাংলাদেশের ট্যানারি শিল্পের উন্নতি নিশ্চিত করার জন্য শিল্প সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক একটি সামাজিক সংলাপের আয়োজন করা হয়। উক্ত সংলাপে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন স্টেট ইউনিভারসিটি অব বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. হাসনাত এম আলমগীর এবং সঞ্চালনা করেন দ্যা এশিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক সাদাত এস শিবলী।

আলোচনায় বক্তারা উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে মালিক শ্রমিকের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ভাল শিখন উপস্থাপন করেন।

তারা আরও বলেন, পোশাক শিল্পের ন্যায় ট্যানারি শিল্পের মালিক এসোসিয়েশন, ট্রেড ইউনিয়ন এবং শ্রমিকের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি করা এবং শ্রম আইন মেনে চলা, আস্থা সংকট দূর করা, চামড়া শিল্পের সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে সরকার অনুমোদিত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং নিয়মিত বসার উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারের পাশাপশি উন্নয়ন সংস্থাকে কাজ করতে হবে।

শিল্প সম্পর্ক উন্নয়নে ৩টি বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন বক্তরা:

# মানব সম্পদ উন্নয়ন ও প্রসাশনে কার্যকর ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করা;
# কার্যকর যোগাযোগা নীতিমালা তৈরী ও চর্চা করা;
# নেতৃত্বের ধরণ এবং কারখানা পর্যায়ে বিভিন্ন ধরণের আচরণ বিধি উন্নয়ন।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) প্রতিনিধি এবং আলোচকগণ শিল্পে শ্রম সমস্যা সমাধানের জন্য কারখানা পর্যায়ে দ্বী-পাক্ষিক আলাপ-আলোচনার সংস্কৃতি তৈরি এবং দায়িত্বপূর্ণ আচার আচরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

বক্তারা আরও বলেন, সুষ্ঠু শিল্প সম্পর্ক শিল্পের ভাবমূর্তি, ব্রান্ডিং, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং কারখানার শোভন কর্মপরিবেশ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

এছাড়া সংলাপে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, মাসুদা সুলতানা, ডেপুটি ডাইরেক্টর, শ্রম অধিদপ্তর, ডা. নাজমুন নাহার, সহকারী মহাপরিদর্শক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, জেড এম কামরুল আনাম, সেক্রেটারী জেনারেল, বিএলএফ, আবুল কালাম আজাদ, সভাপতি, ট্যানারী ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, মোঃ তাহেরুল ইসলাম, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, দ্যা এশিয়া ফাউন্ডেশন প্রমূখ।