বগুড়া জেলার হাটগুলো এখন শীতের সবজিতে ভরপুর। স্থানীয় হাট ও ক্ষেত থেকে শত-শত ট্রাক বোঝাই করে সবরকমের সবজি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলে যাচ্ছে । কৃষকরা এবার সবজির ভালো দাম পেয়ে খুশি। প্রতিদিন সকাল থেকে জেলার মহাস্থান হাট, শাজাহানপুর উপজেলার দুলাগাড়ী হাট পাইকারি ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। কাকডাকা ভোরে কয়েকশ’ ট্রাক নিয়ে পাইকাররা অপেক্ষা করতে থাকে শীতকালিন সবজি কেনার জন্য। এছাড়া কৃষকের ক্ষেতের সামনে ট্রাক নিয়ে সবজি বোঝই করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকরি ব্যবসায়ীরা। এজন্য কৃষককে আর কষ্ট করে পরিবহন ভাড়া ব্যায় করে হাটে-হাটে সবজি বিক্রির জন্য নিতে হয় না। তবে বেশির ভাগ সবজি হাট থেকে সংগ্রহ করেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকা, বরিশাল খুলনা জেলাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলে যায়।
জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মতলুবর রহমান জানান, বগুড়ায় প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার টন শীতকালীন বেগুন, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মূলা, গাজর ,পালংশাক, ধনেপাতাসহ বিভিন্ন সবজি।
শীতকালীন বেগুন, শিম, মূলা ফুলকপি চাষে কৃষকরা ভালো দাম পেয়ে বেজায় খুশি। মহাস্থান হাটে কপি চাষি আব্দুল হালিম জানান, এবার কপিতে তারা ভলো দাম পেয়েছেন। পেঁয়াজ, আলু, বেগুন, মূলা চাষিরাও ভালো দাম পেয়েছে বলে জানান শিবগঞ্জ উপজেলার সানাউল্লাহ।
কৃষি বিভাগ জানায়, সবজি চাষে যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা অতিক্রম করে যাবে। কারণ সবজি চাষ এখনও চলমান আছে।
শিবগঞ্জের মহাস্থান হাটের ইজারদারের ম্যানেজার আবু হাসান জানান, এখন আর হাটবারের দিন নয়, সবজি বিক্রি হয় প্রতিদিন। কাঁচা সবজি প্রতিদিনই হাজার টনের বেশি ট্রাক বোঝাই করে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
জেলার আরেক সবজি উৎপাদন অঞ্চল শাহজাহানপুরে দুবলাগাড়ী হাট থেকে মহাস্থান হাটের মত হাজার টন শিম, বাঁধা ও ফুলকপি, মূলা চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
কৃষি বিভাগ জানায়- জেলায় সবজি উৎপাদনের শীর্ষে আছে মূলা। এরপর শীতকালীন বাঁধাকপি ও ফুলকপি এবং বেগুন। তাদের মতে এবার সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে।
সূত্র: বাসস