পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠান কমপ্লায়েন্স না মানলে বিদেশি গ্রাহকরা সহজে সেই পণ্য কিনতে চায় না। বিদেশি গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে কমপ্লায়েন্স মেনে চলছে, ঠিক দেশি গ্রাহকদের জন্য ফায়ার সেইফটি নানা কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জরুরী বলে মন্তব্য করেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এফবিসিসিআই সেইফটি কাউন্সিল আয়োজিত ‘লিভারেজিং লেসনস লার্নড টু মুভ ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক এক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত কমপ্লায়েন্স ও নিরাপত্তার দিকে অনেক ভালো করছে। বিশ্বের সেরা ১০ টি গ্রিন ফ্যাক্টরির মধ্যে ৮টির অবস্থান এখন বাংলাদেশে। আমাদের আরএমজি সেক্টরের কম্পায়েন্সের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠান দারুণ প্রশংসা করে। আমার মতে, যেসব পণ্য রপ্তানি হচ্ছে সেগুলোর কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা যেমন জরুরী ঠিক একইভাবে আমাদের দেশীয় গ্রাহকদের জন্য যেসব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান পণ্য উৎপাদন করেন তাদেরও একইরকম কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জরুরি। এতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা যেমন সুরক্ষিত থাকে ঠিক তেমনি ব্যবসায়ীরাও অগ্নিকাণ্ড বা বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যেতে পারে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ’এফবিসিসিআই দেশের প্রধান বাণিজ্য সংগঠন। কলকারখানার নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের কাজ করার কথা নয়। কিন্তু বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কর্মীদের প্রাণহানীসহ ব্যবসায়ীদের যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় সেগুলো কাটিয়ে উঠতে এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে আমরা এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেই। ইতোমধ্যে এই সেফটি কাউন্সিল ৫ হাজার ২০৬ টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছে। তার মধ্যে আমরা ১০০ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান পেয়েছি যেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। তাদের সাথে আমরা আলোচনায় বসে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবো।’ এসময় অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি কমাতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিল্প মালিকদের কমপ্লায়েন্স মেনে চলার আহ্বান জানান।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি পাঁচ হাজারের বেশি কারখানা পরিদর্শনের জন্য এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিলের প্রতি ধন্যবাদ জানান। তবে পরিদর্শনের সাথে সাথে অতি ঝুকিপূর্ণ চিহ্নিত কারখানাগুলোকে সংস্কারের ব্যবস্থা এমনকি বন্ধ করার বিষয়েও পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি সরকারি সংস্থাগুলোতে এনফোর্সমেন্ট আরো জোরদার করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বাণিজ্য সচিব।