প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

শুল্ক কমানোর ফলে কমবে চিনির দাম: বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯ মার্চ ২০২৩ ১৩:১০:১৩ | আপডেট: ২ years আগে
শুল্ক কমানোর ফলে কমবে চিনির দাম: বাণিজ্যমন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত

চিনিতে শুল্ক ছাড় দেয়ার কারণে কেজিতে ৫ টাকার মতো ছাড় পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, আমরা ব্যবসায়ীদের চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমানোর অনুরোধ করেছি। তারা আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন। আশা করি, রোজার প্রথম সপ্তাহেই চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমবে।

রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স এর ৬ষ্ঠ সভা’ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘শুল্ক কমানোর ফলে চিনিতে সাড়ে চার টাকার মতো কমানো যাবে। তবে আমরা ব্যবসায়ীদের কেজিতে পাঁচ টাকা কমানোর অনুরোধ করেছি। তারা আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন। আশা করি, রোজার প্রথম সপ্তাহেই চিনির দাম কেজিতে পাঁচ টাকা কমবে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চিনির যে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে, সেই সুবিধা এখনো পাওয়া যায়নি। কয়েকদিনের মধ্যে শুল্ক ছাড়ের চিনি বাজারে আসবে। আমরা আশা করি, রোজার প্রথম সপ্তাহেই চিনির যে দাম, তা থেকে কেজিতে পাঁচ টাকা কমবে। আমরা মনিটরিং করব। শুল্ক কমানোর পর বাজারে কী প্রভাব পড়ছে, তা নজর রাখা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের কাছে তেল ও চিনি যথেষ্ট পরিমাণে আছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে। কেউ কৃত্তিম উপায়ে কোন পণ্যের অবৈধ মজুত করে মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করা হলে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাজারে মুরগির সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

পরে বাণিজ্যমন্ত্রী ঢাকায় নিযুক্ত ইরানের এ্যাম্বাসেডর মানসুর চাভোশির নেতৃত্বে একটি ইরানী ব্যাবসায়ী প্রতিনিধি দলের সাথে মত বিনিময় করেন। এ সময় ইরানের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এক্ষেত্রে উভয় দেশের ব্যবসায়ীগণ অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে বলে মত প্রকাশ করা হয়।

এরপর বাণিজ্যমন্ত্রী ঢাকায় সফররত ভারত চেম্বার অব কমার্স এর প্রেসিডেন্ট এন জি খাইতান এর নেতৃত্বে আগত একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সাথে মত বিনিময় করেন। এ সময় উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করা হয়। উভয় দেশের মানুষের যাতায়াতের জন্য ভিসা সহজীকরণের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।