প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

‘শেয়ার বাজারে কারসাজি ঠেকাতে প্রযুক্তিগত দক্ষ জনবল প্রয়োজন’

কারসাজিকারীকে চিহ্নিত করতে ৬-১২ মাস সময় লাগে: বিএসইসি চেয়ারম্যান
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:০০:৫৭ | আপডেট: ২ years আগে
‘শেয়ার বাজারে কারসাজি ঠেকাতে প্রযুক্তিগত দক্ষ জনবল প্রয়োজন’

শেয়ার বাজারে কারসাজি ঠেকাতে অত্যাধুনিক সফটওয়্যার এবং প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ জনবল প্রয়োজন। শেয়ার ব্যবসায় অনৈতিক কার্যক্রম অবিলম্বে চিহ্নিত করতে বিএসইসি দক্ষ সফ্টওয়্যার ইনস্টল করতে কাজ করছে বলে জনিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম।

শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেটের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বিএসইসি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অধ্যাপক শিবলী বলেন, ‘বিদ্যমান ব্যবস্থায় শেয়ারবাজারে জুয়াড়ি শনাক্ত করতে ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগে। স্টক এক্সচেঞ্জ দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দিলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি। সাক্ষ্য-প্রমাণ যাচাই করতে এবং অপরাধীকে শাস্তি দিতে সাধারণত ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগে। ইতোমধ্যে এই সময়ের মধ্যে, বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়।’

অধ্যাপক শিবলী গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, সাংবাদিকরা শেয়ারবাজারের কারসাজির তথ্য পেলে প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সচেতন করা উচিৎ।

তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রীও পুঁজিবাজারের বিষয়ে অবগত।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে গত দুই বছরে ৩৬টি কোম্পানিকে আইপিও দিয়েছি। এই সময়ে তিন হাজারেরও বেশি লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।’

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কত ট্যাক্স দেয় তা সবারই জানা। এগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। তাদের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। আহমেদের প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশে এমএনসি’র ব্যবসা করছে এবং কিন্তু কেউ নির্দিষ্ট করে জানে না তারা কত ট্যাক্স দেয়। তাদের তালিকাভুক্ত করা হয় না। ‘কেন তারা তালিকাভুক্ত নয়’?

ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক মুখ্য সচিব নজিবর রহমান; বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ

সিদ্দিকী এবং ড. এম. খায়রুল হোসেন; বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (ইডি) ড. এজাজুল ইসলাম; ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান; চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম; অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, আইসিএবি, আইসিএমএবি, আইসিএসবি-এর প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।