প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

সরবরাহ ঘাটতি থাকায় চিনি বিক্রি বন্ধ রেখেছে টিসিবি

রোকন উদ্দীন
২৩ মে ২০২৩ ১১:৩৮:৪২ | আপডেট: ২ years আগে
সরবরাহ ঘাটতি থাকায় চিনি বিক্রি বন্ধ রেখেছে টিসিবি

চিনির দাম সরকার নির্ধারিত হারের চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে যাওয়ায় সরবরাহ ঘাটতির কারণে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) চলতি মাস থেকে কার্ডধারীদের কাছে চিনি বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে।

টিসিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতে, সরকার নির্ধারিত মূল্যে চিনি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না বলে স্থানীয় সরবরাহকারীরা চিনি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

বর্তমানে ঢাকা ছাড়া সারা দেশে কার্ডধারীদের জন্য নিয়মিত কর্মসূচির আওতায় চিনি বিক্রি করা বন্ধ রেখেছে টিসিবি। রাষ্ট্রায়তত্ত্ব সংস্থাটি বর্তমানে শুধু ভোজ্যতেল ও মসুর ডাল বিক্রি করছে।

চলতি মাসের ১৪ মে থেকে এক কোটি কার্ডধারী পরিবারের কাছে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি।

টিসিবি চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফুল হাসান দ্য বিজনেস পোস্ট’কে বলেন “আমরা ব্রাজিল, তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে চিনি আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি। ১৫ জুন প্রথম চালানের সময়সূচী অনুযায়ী ইতোমধ্যেই এলসি খোলা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “একবার চালান শুরু হলে, দেশে আসতে যতটা সময় লাগে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আগামী জুলাই থেকে আমরা আমাদের আমদানিকৃত চিনি বিক্রি করতে পারব। তবে তার আগে আমরা অল্প সময়ের জন্য সংকট মেটাতে ভারত থেকে চিনি আমদানির চেষ্টা করছি। সেটা করতে পারলে আগামী মাসে ঈদের আগে চিনিসহ সব পণ্য গ্রাহকদের দিতে পারব।”

এদিকে, ব্রাজিল থেকে টিসিবি আমদানিকৃত চিনির একটি চালান জুলাইয়ের শুরুতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে, যার ফলে চিনির দাম কমবে এবং কিছুটা সহজলভ্য হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

এ মাসের শুরু থেকে খুচরা পর্যায়ে চিনির দাম প্রতি কেজি রেকর্ড সর্বোচ্চ ১৪০ টাকায় পৌঁছেছে এবং তারপর থেকে অপরিবর্তিত রয়েছে। যা এপ্রিল মাসের শেষ নাগাদ ১২০ টাকা করে ছিল।

দাম বৃদ্ধির ফলে খোলা বাজারে চিনির সরবরাহ কমে গেছে।

গত সপ্তাহে, এমনকি টিসিবিও চিনির দাম বাড়িয়েছিল। সরকার দুই সপ্তাহ আগে খোলা বাজারে চিনির খুচরা দাম কেজি প্রতি কেজি ১৬ টাকা করে বাড়িয়ে পুনঃনির্ধারণ করে। তখন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম হয় ১২০ টাকা।

টিসিবি'র নিয়মিত বিক্রয় কর্মসূচির আওতায়, একটি কার্ডধারী পরিবার একবারে ৪৩০ টাকা মূল্যের পণ্য পাওয়ার কথা, যার মধ্যে প্রতি লিটার ১১০ টাকায় দুই লিটার তেল, ৭০ টাকায় ২ কেজি মসুর ডাল এবং ৭০ টাকায় এক কেজি চিনি। 

দেশে প্রতি মাসে ১.৭৫ লাখ টন চিনির চাহিদা রয়েছে, যার প্রায় পুরোটাই আমদানি করা হয় স্থানীয় শোধনাগারের মাধ্যমে। এর মধ্যে টিসিবি প্রতি মাসে ১০ হাজার টন চিনি বিক্রি করে।

সূত্র জানায়, টিসিবি এখন পর্যন্ত স্থানীয় সরবরাহকারীদের কাছ থেকে চিনি সংগ্রহ করলেও সরবরাহ সংকটের মধ্যে সরাসরি আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে।

বর্তমানে সরকারের কাছ থেকে ৭৫ হাজার টন চিনি আমদানির অনুমোদন পেয়েছে টিসিবি।