প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

সরবরাহ বাড়ায় কমছে মাছ-মুরগির দাম

০২ ডিসেম্বর ২০২১ ১১:৪৭:১১ | আপডেট: ৩ years আগে
 সরবরাহ বাড়ায় কমছে মাছ-মুরগির দাম

মোহাম্মদ নাহিয়ান

সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় গত কয়েকদিনে রাজধানীর বাজারে মুরগি ও কয়েক প্রজাতির মাছের বিক্রি বেড়েছে। এর ফলে আগের তুলনায় কমেছে দাম।

বুধবার বাজারে রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, শোল, চিংড়ি, মৃগেল কার্প, সিলভার কার্প, টাকি, দেশি কই এবং ইলিশের দাম তুলনামূলকভাবে কম ছিল।

আকার ও মানের উপর নির্ভর করে প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায়।

বড় চিংড়ি কেজিপ্রতি ৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা কয়েকদিন আগে ছিল ৭০০ টাকা। ছোট জাতের চিংড়ি বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকা কেজিতে, যা আগে ছিল ৫৫০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা জানান, বেশিরভাগ চিংড়ি ভৈরবসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রাজধানীতে আসছে।

মিরপুর-১ এর মাছ ব্যবসায়ী মো. মামুন দ্য বিজনেস পোস্টে'র সাথে আলাপকালে বলেন, এখন মাছের মৌসুম, চাহিদা মেটাতে সরবরাহ যথেষ্ট। এ কারণে বাজারে মাছের দাম কমছে।

আরও কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী জানান, গত কয়েক দিনে তাদের বিক্রি বেড়েছে।

মাঝারি আকারের রোহু প্রতি কেজি ২৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা আগে ৩২০ টাকা ছিল। আর ছোটটি প্রতি কেজি ১৬০ থকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

টাকি মাছ আকার ও মানের উপর নির্ভর করে প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা এবং ৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়।

কৈ প্রতি কেজি ৮০০ টাকা এবং বড় পাঙ্গাস ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তবে রূপচাঁদা মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে প্রতি কেজি এক হাজার টাকায়।

বুধবার ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৪২ টাকা, যা গত সপ্তাহে ১৪৩ থেকে ১৪৫ টাকা কমেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গত ২৬ নভেম্বর সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছে ২৬৫ থেকে ২৭০ টাকায়।

তবে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি দাম ছিল প্রতি কেজি ২৯০ থেকে ২৯৫ টাকা এবং পরে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকায় উঠে যায়।

গত কয়েক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল ছিল। প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যেখানে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা ছিল।

পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও সম্প্রতি চালের দাম কেজি প্রতি ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে। সবজির দাম এখনও বেশি। হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষেরা।

নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকজন ভোক্তা।