মোহাম্মদ নাহিয়ান
পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও রাজধানীর বাজারে গত কয়েকদিন ধরেই বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের চালের দাম। দামের এ ঊর্ধ্বগতির কারণে ব্যয়ভার সামাল দিতে বেগ পেতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষকে।
রোববার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরেছে দ্য বিজনেস পোস্ট। দেখা যায়, পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও গড়ে ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে প্রতি কেজি চালের দাম।
খুচরা বাজারে মিনিকেট জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬২ টাকা, নাজিরশাইল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, পাইজাম ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা, আতাশত ৫০ টাকা থেকে ৫২ টাকা, লতা ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায় আর স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা থেকে ৪৩ টাকায়।
তবে চাল ব্যবসায়ীদের দাবি, পাইকারি বাজারে মিনিকেট বিক্রি হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকা এবং পাইজাম ৪৭ টাকায়।
মিরপুর-১ এর মদিনা রাইস এজেন্সির মালিক মো: সিদ্দিক দ্য বিজনেস পোস্ট’কে বলেন, ধানের দাম বেড়েছে, তাই চালের দামও বাড়তি। এছাড়া জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে চালের বাজারেও।
বর্তমানে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন জাতের ধানের দাম ১ টাকা থেকে ২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
কারওয়ান বাজারের ক্রেতা সিরাজুল আলম বলেন, প্রতিদিনই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, সবজি ও চালের দামও আমার সাধ্যের বাইরে।
এর আগে গত ২১ নভেম্বর মোটা চাল ছেঁটে মিনিকেট ও নাজিরশাইল উৎপাদনে জড়িত সব অটো রাইস মিলের তালিকা জমা দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
রুলে বলা হয়, যদি ছাঁটা চাল খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে, তাহলে কেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং কেন এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয়া হবে না।
৩০ অক্টোবর আমদানির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পাইকারি এবং খুচরা উভয় ক্ষেত্রেই চালের দাম বাড়তে থাকে।
গত ৬ আগস্ট খাদ্য মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) প্রধান এ খাদ্যটির ওপর আমদানি শুল্ক কমানোর নির্দেশনা দেয়।
পরে ১২ আগস্ট, এনবিআর চাল আমদানির ওপর ৬২.৫ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে শুল্ক নামিয়ে আনে। তখন বলা হয়, এ সুবিধাটি শেষ হবে ৩০ অক্টোবর।
দ্য ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি) গত ৩ নভেম্বর ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন ট্রাকে করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু করে, যা শেষ হয় গতকাল ২৮ নভেম্বর।